বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুটিকে প্রতিদিন অক্সিজেন সাপোর্টৈ রাখতে হচ্ছে

Newsbazar24: মালদার কালিয়াচক চার বছর বয়সী এক শিশুর শরীরে মিলেছে বার্ড ফ্লুর ভাইরাস। এই ঘটনার পর গতকাল রাত্রে মালদায় এসে পৌঁছায় রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা দীপঙ্কর মাঝির নেতৃত্বে তিনজনের এক প্রতিনিধিদল। আজ সকালে তারা কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন। সেখানে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সাথে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। বৈঠক করার পর রাজ্য থেকে আসা স্বাস্থ্য প্রতিনিধিরা যান কালিয়াচকের ওই শিশুর বাড়ি। সেখানে পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং সমস্ত বিষয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।
সূত্রে জানা যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ভারতে মানুষের শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ধরা পড়ল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২২ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এই কথা জানা যায়। ২২ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যনুযায়ী, পুনের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে নমুনা পরীক্ষা করে জনা যায় শিশুটি বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত। আক্রান্ত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েকমাস আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ৪ বছরের শিশুটি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। মালদা মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল প্রায় ১ মাস। কিন্তু, সমস্যার সমাধান না হওয়ায়, এন আর এস মেডিক্য়াল কলেজে রেফার করা হয়। সেখানেও প্রায় ২ মাস চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি। ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল। বর্তমানে শিশুকে বাড়িতেই রাখা হয়েছে। কিন্তু, পরিবারের বক্তব্য়, এখনও তার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা মেটেনি। এই ঘটনার এতদিন পর, ১৪ জুন অর্থাৎ শুক্রবার বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে পৌঁছলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। ঘুরে দেখেন স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য়কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই এলাকাবাসীর প্রশ্ন এতদিন লাগল কেন স্বাস্থ্য‌ আধিকারিকদের এ ব্যাপারে খোঁজখবর করতে।
রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা দীপঙ্কর মাঝি জানান,বিষয়টি সরোজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন। আতঙ্ক হবার কিছু নেই তবে তাদের যে নজরদারি সেই নজরদারি চলবে। শিশুটি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।
আক্রান্ত শিশুর বাবা বলেন, “এর আগে কোনও চিকিৎসক আসেনি। কেউ আসেনি। কোনও সাহায্য এখনও পর্যন্ত করেনি। বর্তমানে শিশুটি অসুস্থ রয়েছে। প্রতিদিন অক্সিজেন দিয়ে রাখতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার কথা শুনে আতঙ্কিত গ্রামবাসী।