বাংলাদেশের বঙ্গভবনে ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীদের ঢোকার চেষ্টা, পুলিশের বাধা চলল গুলি

Newsbazar24:বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনের সামনে অবরোধকারীদের লক্ষ্য করে গুলি। গুলিবিদ্ধ কয়েকজন বিক্ষোভকারী বলে জানা যাচ্ছে। তীব্র উত্তেজনা ঢাকায়। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বঙ্গভবনের সামনের বিক্ষোভ করছিলেন কয়েক শ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ রাতে দিকে হঠাৎ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্বাধাক্বি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিষয়টি সামাল দেন।রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে এই বিক্ষোভ বলে জানা গিয়েছে।
তাঁকে পদচ্যুত করতে হবে এমনই দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। বঙ্গভবন ঘিরে রাখা সেনা ও পুলিশের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে যেতে পারে এমনই আশঙ্কা।
বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনের দাবি, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুই ছাত্র। এছাড়া একজন সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ ওই গ্রেনেড ছুঁড়েছিল বলে অভিযোগ। আহতদের চিকিৎসা চলছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- ফয়সাল আহম্মেদ বিশাল ও শফিকুল ইসলাম (৪৫)। সাউন্ড গ্রেনেডে আহত তরুণের নাম আরিফ (২০)।
অভিযোগ রাষ্ট্রপতি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে চান। এই কারণে তিনি বলেছেন শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনও নথিভুক্ত প্রমাণ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি অবিলম্বে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের দাবিতে এই বিক্ষোভ।
বিক্ষোভের কারণ, সম্প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি দাবি করেন, দেশত্যাগের আগে শেখ হাসিনা তাঁর পদত্যাগ পত্র দিয়ে যাননি। রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা যে ইস্তফা দিয়েছেন সেরকম কোনও লিখিত প্রমাণ নেই।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত ‘স্বৈরাচারী’ শেখ হাসিনাকে ফের বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ। শেখ হাসিনা যে পদত্যাগপত্র দাখিল করেছিলেন সেটি আগেই জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।
গত ৫ আগস্ট সরকার বিরোধী গণবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘গণভবন’ লুট করেছিল বিক্ষোভকারীরা। এবার বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য রাষ্ট্রপতির বাসভবন ‘বঙ্গভবন’।