বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে পড়ে রইল ১০ লক্ষ টাকার  ‘রূপালী  রত্ন’ ! বিজিবির ধাওয়াতেই পালাল পাচারকারীরা

news bazar24: বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হচ্ছিল ১০ টাকার বেশি মূল্যের ‘রত্ন’! তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সতর্ক ছিল। চোরাকারবারীদের ধাওয়া করতেই বিপুল সম্পদ সীমান্ত এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায় । কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার উত্তর আনন্দপুর এলাকায় সীমান্তের ১০০ গজের মধ্যে অন্তত ৬৫০ কেজি ইলিশ মাছ বাজেয়াপ্ত করেছে বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।

ভারতে প্রতি কেজি মাছ বিক্রি হয় প্রায় ১৬০০ টাকায়। ফলে জব্দকৃত মাছের মোট মূল্য প্রায় ১,০২৫,৬০০ টাকা বলে দাবি করেছে বিজিবি-র । মাছটি নিলামে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল দুপুর ১টার দিকে ওই এলাকা দিয়ে চোরাকারবারীরা ইলিশ পাচারের চেষ্টা করে। তবে এলাকায় বিজিবির টহল দল তৎপর ছিল। তারা চোরাকারবারিদের আটকানোর চেষ্টা করে। বিজিবির লোকজন এসে বুঝতে পারে চোরাকারবারীরা বিপুল পরিমাণ ইলিশ সেখানে ফেলে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। তবে তারা বেশিরভাগ মালামাল সঙ্গে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

সীমান্ত এলাকার দুপাশ থেকে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের ধরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। যদিও এই ইলিশ পাচারের বিষয়ে বিএসএফ এখনও কিছু জানায়নি।

তবে এর আগে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ও বিজিবির পতাকা বৈঠকে উভয় পক্ষই চোরাচালান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ পাচারের চেষ্টা হচ্ছে, একইভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের চেষ্টা হচ্ছে। প্রতি বছর পূজার সময় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে এ বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইলিশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা করে দিয়েছে।

জানা গেছে , পশ্চিমবঙ্গের মাছ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইলিশের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশ এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্টতা নেই। আর সেই কারণেই এ অবস্থায় ইলিশ পাচারের প্রবণতা বেড়েছে।