বর্ষায় স্বস্তি ! দেরিতে এলো পরিযায়ী পাখিদের দল , খুশীর আমেজ কুলিকে

news bazar24 : দেরিতে হলেও পরিযায়ী পাখিদের আগমন শুরু হওয়াই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ কুলিক পাখি অভয়ারণ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। প্রতি বছর মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুন মাসের মধ্যে কুলিক পাখি অভয়ারণ্যে ঝাঁক ঝাঁক পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করে। এ বছর সে সময় পাখিরা না আসলে উদ্বিগ্ন হয়ে ছিলেন পরিবেশবিদরা। তবে কয়েকদিনের বৃষ্টির পর ছন্দে ফিরেছে কুলিক। কুলিক এভিয়ারি পরিযায়ী পাখির গুঞ্জন শুরু হয়েছে । উল্লেখ্য, কুলিক পক্ষিনিবাস এশিয়ার বৃহত্তম এভিয়ারি বা পক্ষিনিবাস হিসেবে পরিচিত। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে রায়গঞ্জ শহরের কুলিক নদীর তীরে ৬০০ একরের বেশি বনভূমিতে নির্মিত পক্ষিনিবাস প্রতি বছর মে জুন মাসে শীতের দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে পরিযায়ী পাখির ঝাঁককে আসতে শুরু করে । ‘ওপেন বিল স্টর্ক’, ‘ইগ্রেট’, ‘কর্মোর্যান্ট’, ‘নাইট হেরন’ – মূলত এই চার প্রজাতির পাখি এই পক্ষিনিবাসে এসে তাদের সঙ্গী ও বাসা বেছে নেয়। প্রজননের মাধ্যমে ডিম পেড়ে বাচ্চা প্রসব করে। তাদের লালন-পালন থেকে শুরু করে উড়তে শেখানো পর্যন্ত চলে শীতের আগ পর্যন্ত।
বন দফতরের আধিকারিকদের মতে, চলতি বছরের মে-জুন মাসে প্রচণ্ড গরম ছিল। এটি পশু-পাখিদেরও প্রভাবিত করে। তাই সেই সময় তারা না আসলেও বৃষ্টির কারণে এখন আসতে শুরু করেছে এই পরিযায়ী পাখির ঝাঁক। বন দফতরের এডিফো (রায়গঞ্জ ডিভিশন) সৌগত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এ বার পরিযায়ী পাখির দল নির্ধারিত সময়ে আসেনি। প্রতি বছর প্রাক-বর্ষায় পরিযায়ী পাখির ঝাঁক ভিড় জমায়। এবারের চিত্র ভিন্ন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এখন পাখি এসেছে। আমাদের ধারণা, তাপমাত্রা বেশি থাকায় পাখিরা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলো । এখন পর্যটকরাও বেড়াতে এসে স্বস্তি পাচ্ছেন।