প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে অপসারণ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অধীর, অত্যাচারিত কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা

Newsbazar24 গতকালই দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক গুলাম আলি মীর সহ হাইকম্যান্ডের নেতারা। সেই বৈঠকে বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ও রাজ্য কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি অধীর চৌধুরীকে প্রাক্তন সভাপতি বলে উল্লেখ করা হয়। আর এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গেই অধীর ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানালেন, ‘বাংলার কংগ্রেস এখন দু’জন চালাচ্ছে। গোলাম মীর এবং সিং সাহেব।
তিনি বলেন, বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার সময়ও জানতাম আমিই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু বৈঠকে ঢোকার পর গুলাম আলি মীর আমাকে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলে উল্লেখ করেন। তখনই বুঝতে পারলাম আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার ইস্তফাপত্র যে গৃহীত হয়েছে, সেটা
আমাকে জানানোই হয়নি। জানা গেছে গতকালের ওই বৈঠকে কে সি বেণুগোপাল ছাড়া শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আর কেউ ছিলেন না। অধীর কার্যত অভিযোগের সুরেই বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গুলাম আলি মীরের নির্দেশেই বৈঠক হচ্ছিল। বৈঠকে রাজ্যের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য. দীপা দাশমুন্সি, নেপাল মাহাতোর মতো নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অধীর বলেন, ‘যেদিন থেকে মল্লিকার্জুন খাড়গে দলের সভাপতি হলেন, কংগ্রেসের সংবিধান অনুযায়ী গোটা দেশে দলের সমস্ত পদ অস্থায়ী হয়ে গিয়েছিল। আমার পদও অস্থায়ী হয়ে গিয়েছিল।
মল্লিকার্জুন খার্গের একটি বিবৃতি স্মরণ করেন অধীর চৌধুরী বলেন যেখানে তাঁকে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত নির্বাচন চলার সময় মল্লিকার্জুন খার্গে বলেছিলেন, প্রয়োজনে অধীর চৌধুরীকে বাইরে রাখা হবে। এই মন্তব্যে সেই সময় তিনি অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অধীর। তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় যেভাবে কংগ্রেস কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি কথা বলবেনই। তবে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের আচরণে তিনি হতাশ, তা গোপন করেননি অধীর।
তিনি অভিযোগ করেছেন তৃণমূল, কংগ্রেসের অফিস দখল করেছে এবং করছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি কীভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চুপ করে থাকবেন? যদি চুপ করে থাকেন, তাহলে সেইসব দলীয় কর্মীদের প্রতি অবিচার করা হবে। যা তিনি কখনই পারবেন না বলে জানিয়েছেন। অধীর চৌধুরীর আবেদন যে কর্মীরা রাতদিন লড়াই করছে, দলের পতাকা নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গেও দিল্লি কথা বলুক, তাদের মতামতও জানা দরকার। অধীর চৌধুরী বলেছেন, তিনি সেইসব কর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় থাকবেন। অন্যায়ের সঙ্গে তিনি আপোশ করেননি, করবেনও না।