পরিবারের জন্যই নাকি গনি দুর্গের পতন মালদায় ! অভিমত নতুন ভোটারদের

news bazar24 : গনিখানের শহর মানেই মালদা শহর । মালদহ মানেই গনিখানের জেলা । ১০ বছর আগে পর্যন্ত গনি মিথেই মালদায় ভোট হত। কিন্তু সেই গনি মিথে কি আজ কংগ্রেস আর ভোট পায় ? গনি ক্যারিশ্মা কি হয় পরিবার সদস্যদের ক্ষেত্রে ? আর এই নিয়েই এখন রাজ্য রাজনীতিতে চলছে জোড় চর্চা ।

             মালদা জেলা একসময় পরিচয় ছিল প্রয়াত প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এবিএ গণি খান চৌধুরী দুর্গ হিসাবে । তিনি এই মুহূর্তে নেই । প্রায় ১৮  বছর আগে প্রয়াত হন তিনি । এক সময় তার নামেই মালদা জেলায় ভোট হতো। কিন্তু মৃত্যুর ১৮ বছর প্রায় দেড় যুগ পরেও মালদায় গনি খানের মিথ রয়েছে কিনা ভোটে কতটা সক্রিয় গণি মিথ তা নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে l

        আর  এইবারে নির্বাচন প্রমাণ করবে মালদায় গণি‌ মিথ এখনো সক্রিয় কিনা l ১৯৮০ সালে মালদহ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার জিতে সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন আবু বরকত আতাউর গনি খান চৌধুরী । সেই শুরু একটানা আটবার মালদহ থেকে সাংসদ হিসাবে অপরাজয়ের থাকার রেকর্ড করেন বরকত সাহেব ।

        ২০০৬ সালে তার মৃত্যুর পর নির্বাচন হয় এই লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হন বরকত সাহেবের ভাই আবু হোসেন খান চৌধুরী ওরফে ডালু বাবু। তাকেও খালি হাতে ফেরায়নি জনতা ।  মালদহ এবং পরবর্তীতে দক্ষিণ মালদহ মিলিয়ে একটানা পর পর চারবার সাংসদ নির্বাচিত হন ডালূ বাবু।

এবিএ গণি খান চৌধুরী, তিনি কয়লা মন্ত্রী , রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জেলায় বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।। যেটা মালদার মানুষ এখনো তাকে ভুলতে পারেনি। তবে সময়ের সাথে সাথে রাজনৈতিক গতিবিধিও পরিবর্তন হয়েছে।  নতুন ভোটারদের কাছে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিদায়ি সাংসদ আবু হোসেন খান চৌধুরী ওরফে ডালু বাবুকে নিয়ে ।

অনেক নতুন ভোটারদেরই অভিযোগ,  চার বার সাংসদ ভবনের সদস্য থাকলেও মালদার সমস্যা নিয়ে কেন কোন প্রশ্ন তুলেন নি  ।  মালদার বিভিন্ন ট্রেন বিজেপির সাংসদ বালুরঘাট নিয়ে গেলেও কেন কোন বিবৃতি দেন নি । কেন ময়দানে নামেন নি জেলা কংগ্রেস  ? তারপরে আবার এক ভাই আর ভাগ্নি কংগ্রেস ছেড়ে চলে গেলেন তৃনমূলে । এই সব হাজার প্রশ্ন এখন নতুন প্রজন্মদের কাছে ।

বরকত গনি খান চৌধুরী আজ নেই তবে এখনো মালদার  মাঝ বয়সী মানুষেরা  তাকে শ্রদ্ধা করেন গণি খানের ম্যাজিক বা তার নামে ভোট দিয়ে থাকেন । কিন্তু নতুন প্রজন্মের মনে কি আছে সেটাই দেখার বিষয় ।