নবান্নে বৈঠকের আগে ডাক্তারদেরকে চাপে রাখতে অনিকেত ও দেবাশীষের বিরুদ্ধে এফআইআরের হুশিয়ারি কুনালের

Newsbazar24:আবারও জুনিয়র ডাক্তারদের হুশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। তিনি সোস্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন। তার এই পোস্ট নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন অনুযায়ী জুনিয়ার ডাক্তাররা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে বৈঠকে বসছেন। তবে মুখ্য সচিবের দেওয়া অনশন প্রত্যাহারের ‘শর্ত’ না মেনেই তারা আজ নবান্নে বৈঠক করতে যাবেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম দেবাশিস হালদার এবং অনিকেত মাহাতোর বিরুদ্ধে এফআইআর করার হুঁশিয়ারি তিনি দিলেন ।
কুণাল ঘোষ আজ নিজের পোস্টে লেখেন, ‘যদি মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক পরিকল্পিতভাবে অন্যায্য জেদে ভেস্তে দিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হয়, তাহলে বাংলার কোনও রোগীর কোনো ক্ষতি হলে নিকটবর্তী থানায় ডাঃ দেবাশিস হালদার ও ডাঃ অনিকেত মাহাতোর নামে যেন এফআইআর হয়। তাঁরাই চক্রান্তের অংশীদার। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকের নাম যোগ করবেন। চিকিৎসা আপনার মৌলিক অধিকার। প্ররোচনা দিয়ে তা থেকে বঞ্চিত কার আইনত অপরাধ।মুখ্যমন্ত্রী বারবার অভিভাবকোচিত সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছেন। তাতে সাড়া দিয়ে অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনা হোক। বাম, অতি বাম, বিরোধীদের ফাঁদে পা দেবেন না’।
দিকে কুণালের এই পোস্টের জবাবে কিঞ্জল নন্দ কারো নাম না করে লেখেন, ‘সিদ্ধান্ত শুধু অনিকেত বা দেবাশিস হালদার নেয়না। সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট নিয়েছে। প্রথম থেকেই আমরা আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম,কিন্তু উৎসবের কারনে সেটা সম্ভব হয়নি। আর বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনশনে বসার আগে দু’বার ইমেল করা হয়েছিল, কিন্তু তার কোন উত্তর আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে তাই সমস্যা সমাধান করার সদিচ্ছা কি সরকারের রয়েছে? যেচে পড়ে কেউ আন্দোলন করতে আসে না। ডাক্তারিতে অনেক কাজ থাকে। যাই হোক,ডাক্তার না হলে সেটা বোঝানো খুব মুশকিল। তবে ব্যক্তি আক্রমণটা আপনাদের স্বভাব হয়ে গিয়েছে।’
তবে আমজনতার অভিমত যেখানে আজ নবান্নের বৈঠকের জট খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে সেখানে এই ধরনের প্ররোচনামূলক বিবৃতি দিয়ে কুনাল ঘোষ কি ডাক্তারদের আন্দোলনের নেতৃত্বকে চাপে রাখতে চাইছেন উঠছে প্রশ্ন। বিষয়ে সিনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে এক প্রতিনিধি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি শাসক দলের মন্ত্রী জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন নেতারা বিভিন্ন সময়ে এই আন্দোলনকে কুৎসা ও কুরূচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন। এই বিষয়টি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।