দ্রৌহ কার্নিভালের অনুমতি দিয়ে রাজ্য সরকারকে চরম ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

Newsbazar24:আবারও হাইকোর্টে মুখ পূড়ল রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকারকে চরম ভৎসনা করে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’এর অনুমতি দিল আদালত।পুলিশের জারি করা ১৬৩ ধারা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি।
জুনিয়র ডাক্তারদের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ থেকে অশান্তি ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় কার্নিভালের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বরং রানি রাসমণি ও তার সংলগ্ন এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করে পুলিশ।এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যান ডাক্তাররা।
রানী রাসমণি রোডকে দুর্গে পরিণত করেছিল পুলিশ। লোহার মোটা শিকল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল পথ। আদালতের রায়ে, নিজের হাতেই খুলে দিতে বাধ্য হল পুলিশ।
ডাক্তাররা সহ আন্দোলনকারী সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। তৈরি হয় মানব-শৃঙ্খল। পিছু হঠতে বাধ্য হয় পুলিশ। ঢাক বাজিয়ে, প্ল্যাকার্ড হাতে, প্রতিবাদের রব তুলে নজিরবিহীন আন্দোলনে সামিল হলেন চিকিৎসকরা ও হাজার হাজার মানুষ ।
চিকিৎসকদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ‘পুলিশের আদেশ বাতিল আদালতের। শান্তিপূর্ণভাবে যাতে দ্রোহ কার্নিভাল ও পুজো কার্নিভাল হয়, কোনও বিরোধ না হয়, তার জন্য আদালতের কাছে আমাদের প্রস্তাব ছিল আর রানী রাসমণি এভিনিউয়ে দ্রোহ কার্নিভাল হবে। তিনি জানান, সরকারের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল এই আদেশে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন, সেটাও বিচারপতি খারিজ করে দেন।
এই দ্রোহ কার্নিভাল রুখতে পুলিশের তরফ থেকে জমায়েত রুখতে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। সঙ্গে ইমেল করেন প্রধান বিচারপতির কাছেও।
চিকিৎসকদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে মামলা দায়ের করে বলেন, “রানি রাসমনিতে শেষ হয়ে যাবে দ্রোহ কার্নিভাল। যেটা কার্নিভালের চেয়ে অনেক দূরে।” তার পাল্টা রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত বলেন, “রেড রোডের পাশেই রানি রাসমনি।”
তখন বিচারপতি বলেন, “আপনারা একটা সুবিধা মতো জায়গা বলুন, আমি সেই পর্যন্ত ওঁদের অনুমতি দিচ্ছি।” বিচারপতি এজি-কে প্রশ্ন করেন, কিভাবে অবৈধ জমায়েতের কথা বলছেন। ”তখন মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জনবলেন, “ চিকিৎসকরা গুন্ডা নয়, যে গোলমাল পাকাবে। তেমন হলে গার্ডরেল করা হোক।”
এজি এটা বন্ধ করার জন্য বলেন, “আগামীকাল হলে আমাদের আপত্তি নেই। মাত্র ৫০-৬০ মিটার দূরেই পালিত হচ্ছে। সেটাই সমস্যা। গন্ডগোল হতে পারে। তখন বিচারপতি এজিকেই বলেন, “দুটো কার্নিভাল যাতে শান্তিপূর্ণ হতে পারে, এমন কিছু পরামর্শ দিন।” এজি তখন জানান, রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
বিচারপতি রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয়ে রাজ্যের নির্দেশ বাতিল করে দিয়ে দ্রৌহ কার্নিভালের অনুমতি দেন। পাশাপাশি কমিশনারের অর্ডারের নিন্দা করে বিচারপতি বলেন, “বার বার আদালতের নির্দেশ সত্বেও আপনারা
র‍্যালির অনুমতি দিচ্ছেন না। এরপর পুলিশের জারি করা ১৬৩ ধারা খারিজ করে দেন বিচারপতি।