দুষ্কৃতি হামলায় গ্রামের এক যুবকের খুনের ঘটনায় রণক্ষেত্র ইংরেজবাজার থানার অমৃতি , পুলিশ ও জনতা খণ্ড যুদ্ধ ও ইট বৃষ্টি

Newsbazar24:দুষ্কৃতি হামলায় গ্রামের এক যুবকের খুনের ঘটনায় রণক্ষেত্র ইংরেজবাজার থানার অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিকান্দারপুর এলাকা। মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বুধবার সকাল থেকেই রাস্তা অবরোধকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় পুলিশ ও এলাকার জনতার সংঘর্ষ ইট বৃষ্টির অভিযোগ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয় বলে জানা গেছে। এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সিকেন্দারপুর এলাকার মালদা – মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্ভব জৈন বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশের সামনেই বিক্ষোভকারীরা ইঁট,পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ । অবশেষে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় এদিন বিকেল থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শিবু মন্ডল (২৫)। হামলায় গুরুতর জখম আকাশ গুপ্ত (২৭) এবং সূর্য মন্ডল (২৮) বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে সিকেন্দারপুর গ্রামে প্রতিদিন রাতেই একদল দুষ্কৃতীরা তান্ডব চালাচ্ছিল। ইংরেজবাজার থানায় জানানো সত্ত্বেও পুলিশ নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা না করায় গ্রামবাসীরা পালা করে রাতে পাহারা দেবার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ গ্রামেরই কয়েকজন যুবক পাহারা দিচ্ছিলেন। সেই সময় একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী
এলাকায় ঢোকে। তাদেরকে দেখে কাছে যেতেই দুষ্কৃতিকারীরা শিবু ও সূর্যদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের হামলায় মধ্যরাতে গুরুতর জখম তিনজন যুবককে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হলে শিবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। আর এই ঘটনার পরেই বুধবার সকাল থেকেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সিকেন্দারপুর এলাকা।

বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশকে এব্যাপারে অনেক আগে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। পুলিশের যদি কড়া নজরদারি থাকতো, তাহলে গ্রামের ওই যুবককে খুন হতে হতো না।
এই ঘটনার পর পুলিশী ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্ভব জৈন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। খুনের ঘটনার সময় সেই ফুটেজ ধরে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শুনিয়ে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে।