দার্জিলিঙে পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার, ধৃত প্রধান শিক্ষক

news bazar24:
লটারি টিকিট বিক্রি না করতে পারায় গোটা ক্লাসের সামনে কটুক্তি সহ্য করতে হতো এক স্কুল পড়ুয়াকে। গত শুক্রবারও তার অন্যথা হয়নি। ওই ছাত্রকে স্কুল থেকে অপমান করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পরেই স্কুল পোশাকে ওই পরুয়ার দেহ উদ্ধার করা হয় বন্ধ ঘর থেকে।

দার্জিলিং এ নাবালকের দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলে পরিবারের লোকেরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ দেখানো হয় সদর থানার সামনে। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে। দার্জিলিং পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, দার্জিলিং এর রাজবাড়ী এলাকায় একটি সরকারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ওই মৃত পড়ুয়া। শ্রমিক পরিবারের সন্তান সে। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে স্কুল থেকে পড়ুয়াদের চার পাতা করে লটারি টিকিট বিক্রি করতে দেওয়া হয়েছিল। ওই পড়ুয়া চার পাতার মধ্যে দুই পাতা বিক্রি করতে পেরেছিল। টিকিট বিক্রির ৮০০ টাকা এবং বাকি টিকিটের পাতা ফেরত দিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল তা নেয়নি।

টিকিট বিক্রি করতে না পারার ফলে ক্লাসে অপমান করা হতো তাকে। প্রতিদিন মানসিকভাবে চাপ দেওয়া হত। শুক্রবারে ওই নাবালককে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় অপমান করে। অবশেষে অপমান সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্রটি।

পরিবারের দাবি অনুযায়ী, শুক্রবারে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে নিজেকে ঘর বন্দি করে ফেলেছিল সে। রাতে শোয়ার ঘরে স্কুলের পোশাকে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান অভিভাবক। মৃতের দাদা বলেন, টিকিট বিক্রি না করতে পারার জন্য ক্রমাগত ভাইকে মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ও পারছিলোনা দেখে আমি ওকে টিকিট বিক্রি করতে সাহায্য করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সেভাবে চেনা পরিচিত নেই। বারবার এইভাবে অপমান সহ্য না করতে পেরে মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছে আমার ভাই।

একদিকে যেমন র‍্যাগিং বিতর্ক নিয়ে বারবার মুখ খুলেছেন মানুষ তেমন অন্যদিকে এইভাবে শিক্ষকদের হাতে র‍্যাগিং করার ঘটনার সামনে উঠে আশায় আরো একবার প্রশ্নের মুখে পড়লেও শিক্ষা ব্যবস্থা।