‘তোকে দেখছি, বাবা! বিজ্ঞানীদের সঙ্গে!’

news bazar24:
সবে মিনিট 15 আগে চন্দ্রযান দিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি ছুঁয়েছে। টিভির পর্দায় ভেসে উঠেছে সাফল্যের নেপথ্যে থাকা কারিগরদের উচ্চশিত ছবি। এই কারিগরদের মধ্যে অন্যতম হলেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা কৌশিক নাগ।

চন্দ্র যার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই কৌশিক জলপাইগুড়ির নিজের বাড়িতে মা সোনালী নাগকে ফোন করে বলেন, আমাকে দেখতে পাচ্ছ তো? উচ্ছসিত মা বলেন হ্যাঁ দেখতে পাচ্ছি, সকলের সঙ্গে।

বুধবার দুপুরেও ফোন করেছিলেন তিনি মাকে। তখনো চন্দ্র জনের গতি কমেনি। মা যখন বলেন তোকে অনেকদিন দেখতে পাইনি তখন তিনি বলেন আজকে সন্ধ্যেবেলায় দেখতে পাবে সকলের সঙ্গে।

প্রথমে হোলি চাইল্ড স্কুল এবং পরে জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে উত্তীর্ণ হন কৌশিক। বেসরকারি সফটওয়্যার সংস্থা এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের কাজের পর তিনি যোগদান করেন ইসরো। চন্দ্রযান টু অভিযানেও ছিলেন তিনি কিন্তু সেই অসফল্যের যন্ত্রণা বহুদিন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়েছিল তাকে।

তবে এবার প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কৌশিক। যদিও তার মধ্যেই ব্যক্তিগত ঝড়ঝাপটা অনেকটাই সহ্য করতে হয়েছিল তাকে। গত বছর কৌশিকের বাবা বীমা কর্মী কল্যাণ নাগ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। চন্দ্রযান ৩ সাফল্যের পর উচ্ছ্বসিত কৌশিক শুধুমাত্র মাকে নয়, ফোন করেন পিসির বাড়িতেও।

এই সাফল্যের জন্য নিজের বাবা-মা তো বটেই শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন কৌশিক।