তৃণমূলের টানা ২৫ বছরের রাজ্য সভাপতি সরতে চান কেন?

NEWS BAZAR24:
শনিবার যখন তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে রাজ্য সভাপতি দল ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন তিনি তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও খানিকটা নড়েচড়ে বসেন। ব্যাপারটা আর গরাতে না দিয়ে তিনি তখনই থামিয়ে দেন সুব্রত বকশিকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিষয় নিয়ে আর আলোচনার প্রয়োজন নেই। পরে ভাবা যাবে।

সুব্রত বকসী যখন দায়িত্ব ছাড়ার কথা বলছেন তখন তার ডান পাশে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাঁ পাশে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের জন্ম লগ্ন থেকে যে মানুষটি রাজ্য সভাপতি পদে ছিলেন তিনি বলতে চাইছিলেন অসুস্থতার কারণে তিনি আর দৌড়ঝাপ করতে পারছেন না। তিনি চাইছেন তাকে সভাপতির আসন থেকে সরিয়ে দিয়ে অভিষেককে সেখানে বসানো হোক। কিন্তু তৃণমূলের এক মধ্যবয়সী নেতাকে এমন কথা বলতে শুনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দলের জন্ম থেকে যে মানুষটিকে কাছে পেয়েছি তিনি হলেন বকসীদা। এমন মানুষ সরে যাওয়া মানে, পার্টির একটি প্রজন্ম শেষ হয়ে যাওয়া।

বাংলার রাজনীতিতে সুব্রত বললে অধীনাপ্রয়াতে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছাড়া আর কারোর কথা মনে পড়ে না যেমন তেমন বক্সি বললেই মনে পড়ে এই মানুষটির কথা। দলে অনেকেই তাকে পার্মানেন্ট প্রেসিডেন্ট বলে চেনেন। ঘনিষ্ঠ মহলে কান পাতলে শোনা যায় তৃণমূলের বাক্স বদলালেও বকশি কখনো বদলাবে না। কিন্তু শনিবার এমন খবর শুনে অনেকেই হকচকিয়ে হয়ে গেছেন।

সুব্রত বাবু যেমন মমতাকে পার্মানেন্ট লিডার বলে মনে করেন তেমন অন্যদিকে এই মানুষটিকেও দল মনে করেন পার্মানেন্ট প্রেসিডেন্ট হিসেবেই। তাই এই পার্মানেন্ট মানুষটিকে সরে যেতে দেখলে কিছুটা হলেও যে দ্বিধাগ্রস্ত হবে গোটা দল তা বলাই বাহুল্য।