ডুয়ার্স উৎসবকে কেন্দ্র করে বিতর্ক, আমন্ত্রণ না পেয়ে টিকিট কেটে ঢুকলেন চার বিজেপি বিধায়ক

Newsbazar24:ডুয়ার্স উৎসবকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বাধলো। সংসদ বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। বিরোধী শিবিরের বিধায়ক বলেই তাঁদের আমন্ত্রণ জাানানো হয়নি দাবি পদ্মশিবিরের। প্রতিবাদে টিকিট কেটে ডুয়ার্স উত্‍সবে প্রবেশ করেন চার বিজেপি বিধায়ক। শাসক শিবির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বারে বারে কেন বিরোধী বিধায়ক সাংসদ বা জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। কেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না শাসক শিবির। এভাবেই রাজনৈতিক বিরোধিতা আর কতদিন চলবে? এটা কি বাংলার সংস্কৃতি?
উল্লেখ্য ২০০৫ সালে শুরু হয় ডুয়ার্স উত্‍সব। এবার এই উৎসব ১৮ তম বর্ষে পদার্পণ করল। গত ৭ জানুয়ারি থেকে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে শুরু হয়েছে ডুয়ার্স উত্‍সব। চলবে আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার দাবি, ‘এটা কোনও নির্দিষ্ট জাতি, ধর্ম, বর্ণ কিংবা রাজনৈতিক দলের মানুষের উত্‍সব নয়। ডুয়ার্সে বসবাসকারী সকলকে কেন্দ্র করে উত্‍সব শুরু হয়েছিল। তবে এখন এটি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। আমরা এটা মানতে পারব না।’তিনি আরো গুরুতর অভিযোগ তোলেন
ডুয়ার্স উত্‍সবকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জেলাশাসকের সহযোগিতায় বেআইনিভাবে তৃণমূল নেতারা কোটি কোটি টাকা তুলছেন। ডুয়ার্স উত্‍সব কমিটির সদস্যরা ওই টাকা দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। আমন্ত্রণ না পাওয়ার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধেয় টিকিট কেটে ডুয়ার্সে উত্‍সবে যান আলিপুরদুয়ার, মাদারিহাট, কালচিনি ও কুমারগ্রামের চার বিজেপি বিধায়ক। ক্ষোভ উগরে দেন মনোজ টিগ্গা। তিনি বলেন,’তৃণমূল সব অনুষ্ঠানকে নিজের দলের অনুষ্ঠান বলে মনে করে। আমরা কোনওদিন সরকারি অনুষ্ঠানে ডাক পাইনি। ডুয়ার্স উত্‍সবকে পৈতৃক সম্পত্তি করার অনুমতি কেউ দেয়নি।’
যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী জানান বলেন,‘আলিপুরদুয়ারের বিশিষ্টজনদেরই ডুয়ার্স উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’ যদিও ডুয়ার্স উৎসবের উদ্বোধন মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের। রাজনৈতিক নেতাদের এই বাক যুদ্ধের মধ্যেও
ডুয়ার্স উত্‍সব বেশ জমে উঠেছে। ক্রমশ বাড়ছে জ্ঞছ্য ভিড়।