জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথি ! কেন এই দিনে দেবী কালীকে ফলহারিণী রূপে পূজা করা হয় ?

news bazar24 ঃ হিন্দু ধর্ম রীতি অনুসারে, প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে ফলহারিণী অমাবস্যা পালিত হয়। এই দিনে দেবী কালীকে ফলহারিণী রূপে পূজা করা হয়। আজ, ২৬শে মে, বাংলায় ১১তম জ্যৈষ্ঠ সোমবার, এই বছরের ফলহারিণী কালী পূজা। ফলহারিণী শব্দের অর্থ ফল হরণকারী। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, আদি শক্তি মহামায়া কালী, ফলহারিণী রূপে, সমস্ত অশুভ শক্তিকে হরণ করে ছিলেন । তাই, এই দিনে ভক্তি সহকারে দেবী কালীর পূজা করলে শুভ ফল পাওয়া যায়।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে, সোমবার দুপুর ১২:১৩ টায় অমাবস্যা তিথি শুরু হয়েছে । এরপর, অমাবস্যা তিথি চলবে ২৭শে মে, মঙ্গলবার সকাল ৮:৩২ পর্যন্ত। গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে, ২৬শে মে, সোমবার সকাল ১১:০৭ মিনিটে অমাবস্যা তিথি শুরু হয় এবং ২৭শে মে, মঙ্গলবার সকাল ৮:৪৪ মিনিটে অমাবস্যা তিথি শেষ হবে।

ফলহারিণী অমাবস্যার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, এই দিনে দেবী স্বয়ং ভক্তদের ইচ্ছা পূরণের জন্য পৃথিবীতে নেমে আসেন। এই দিনে আম, জাম, লিচু, কাঁঠালের মতো মৌসুমি ফল দিয়ে দেবীর পূজা করার রীতি রয়েছে। তারাপীঠের মতো অনেক মাতৃপীঠে, কালী মূর্তি ফুলের পরিবর্তে ফলের সাজে ও ফলের মালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়। হৃদয়ের ইচ্ছা পূরণের জন্য ফলহারিণী কালী পূজায় বিশেষ পূজা করা হয়।

* এই দিনে, সবচেয়ে প্রিয় ফল উৎসর্গ করে দেবীর পূজা করার নিয়ম রয়েছে। পূজার পরে, সেই প্রসাদী ফল বাড়িতে এনে রাখুন। আপনি আর এক বছর সেই ফল খেতে পারবেন না। যদি মনের ইচ্ছা পূর্ণ হয়, তাহলে গঙ্গায় প্রসাদী ফল ভাসিয়ে দেবেন ।

* ফলহারিণী অমাবস্যার দিন গঙ্গায় স্নান করার নিয়ম আছে। যদি গঙ্গা না থাকে, তাহলে পুকুর বা যেকোনো জলাশয়ে ডুব দিয়ে স্নান করতে পারেন।

* অমাবস্যার দিন, মৌনী ব্রত পালন করতে হবে। সারাদিন দৃঢ়ভাবে বাকসংযমী হয়ে থাকতে হবে।

* এই দিনে অশ্বত্থ গাছের পূজা করারও নিয়ম আছে। শাস্ত্র অনুসারে, যদি রাশিফলের চন্দ্র ও মঙ্গলের দোষ থাকে, তাহলে অশ্বত্থ গাছের পূজা করলে বিভিন্ন গ্রহের দোষ দূর হয়।

* এই দিনে মা কালীর সাথে শিবের পূজা করলেও ফল পাওয়া যায়। পঞ্চামৃত দিয়ে শিবের পূজা করার নিয়ম আছে।

* বলা হয় যে, ফলদায়ী কালী পূজার পর, যদি আপনি কোনও দরিদ্র বা অভাবী ব্যক্তিকে পোশাক এবং খাবার দান করেন, তাহলে আপনার জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসবে।