ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনে দু’জনের ফাঁসি,ঘোষণা মেদিনীপুর আদালতের

news bazar24:
দু’বছর আগে ২০ বছর বয়সীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে দুজন যার জন্য তাদের ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে মেদিনীপুর আদালত। এর সঙ্গে এক অভিযুক্ত মহিলাকে যাবর জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনা ঘটার পরবর্তীকালে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।

যারা দোষী বলে সাব্যস্ত হয়, তবে তাদের সাজা ঘোষণা হয় মঙ্গলবার এই সাজা ঘোষণা করেছে মেদিনীপুর আদালতের বিচারক কুসুমিকা দে মিত্র। ২০১১ সালে ওই ঘটনাটি ঘটে, যার পর ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের বাসিন্দা ছোটু মুন্ডা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা বিকাশ মুরমু এবং পিংলার তেমাথানির বাসিন্দা তপতী পাত্রকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

এবার মেদিনীপুর আদালতে তাদের সাজার নির্দেশ দেওয়া হলো। বিকাশ এবং ছোটুকে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে তপতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১১ সালের ৩রা মে পিংলা থানা এলাকার এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়।

ওই তরুণীর মা জানান, করোনার সময় স্কুল বন্ধ ছিল, সেই সময় সেই অনলাইনে পড়াশোনা হচ্ছিল হঠাৎ একদিন তিনি দেখেন সেই তরুণীর ফোন ঘরে রয়েছে কিন্তু তরুণী নেই। বাড়ির পিছনের একটি পুরনো বাড়ি যেখানে মাটির বাড়িটি ইট গাঁথা হচ্ছিল। সেই কাজে দুজন পুরুষ এবং একজন মহিলা নিযুক্ত ছিল।

তারপরে খুঁজতে খুঁজতে ওই ঘরে ঢুকে তিনি দেখতে পান তার মেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে আছে। এরপরে ওই তরুনীর বাবা পিংলা থানায় অভিযোগ করেন। যার পরে পিংলা থানার পুলিশ ওই মেয়েটির দেহ নিয়ে যায়, যার পরে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ মাইতি জানিয়েছেন,” এই ঘটনায় মোট ২৭ জন সাক্ষী ছিলেন। বিচারকের তরফ থেকে দুজনকে ফাঁসি এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”