গরম থেকে বাঁচতে সকালে পঠনপাঠনের প্রস্তাব স্কুল শিক্ষকদের

NEWS BAZAR24:
প্রায় দেড় মাস পর গরমের ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার সমস্ত রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলি খুলে গেল। স্কুল খুলে গিয়ে থাকলেও কিন্তু গরমের দাবদাহ একদমই কমেনি। গরমের ছুটি কাটিয়ে প্রথম দিন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের আসার হার অনেক কম ছিল। কিন্তু তবুও শিক্ষক-শিক্ষিকারা চাইছেন না যে স্কুল আবার বন্ধ হোক। শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রস্তাব যে যতদিন বর্ষা না আসে ততদিন পর্যন্ত স্কুল সকালে করা হোক।

শিক্ষক শিক্ষিকাদের মতে দেড় মাস ধরে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে পড়াশুনায় বেশ ফাঁক হয়ে গেছে। যার কারণেই স্কুল খোলাটা এখন প্রয়োজন, কারণ সেই পড়াশুনোর ঘাটতিটা মেটাতে হবে।

এই বিষয়ে দক্ষিণ কলকাতার সন্তোষপুরের ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সর্বানি সেন জানিয়েছেন, তাদের স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য গ্লুকোজের বন্দোবস্ত করা হয়েছে ।সকালে স্কুল করার ব্যাপারটির ক্ষেত্রে সমস্যা নেই।

এই বিষয়ে কেষ্টপুর এলাকার দেশপ্রিয় বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন নাহার জানিয়েছেন, প্রথম দিন গরমের ছুটি কাটিয়ে ওঠার পর স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম ছিল পড়ুয়াদের সংখ্যা। কবে বর্ষা আসবে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

বেলগাছিয়ার মনোহর একাডেমির শিক্ষিকা সুমনা সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, গরমের ছুটির পর যেদিন প্রথম স্কুল খোলা হল সেই দিন পড়ুয়ারা গরমে ভীষণ কষ্ট পেয়েছে। রুমাল ভিজিয়ে মাথা এবং ঘাড়ে দিচ্ছিল । এর মধ্যে স্কুলের তিনতলায় একদম ক্লাস করা যাচ্ছে না ,কিন্তু এই রকম সময়ে যদি স্কুল আবার বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে পড়ুয়ারা অনেক পিছিয়ে যাবে।

এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐকমঞ্চ এর রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন, তারা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখেছেন এবং যেখানে জানিয়েছেন যে সমস্ত স্কুলের ক্লাসগুলিকে যেন সকালে করে দেওয়া হয়। স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হলে পড়ুয়ারা পড়াশোনার দিক থেকে অনেক বেশি পিছিয়ে যাবে।