Monday , 24 April 2023 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে তাল পাতার পাখা, প্রশ্ন উঠছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটি কি হারিয়ে যাবে?

প্রতিবেদক
kartik pal
April 24, 2023 5:24 pm
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে তাল পাতার পাখা, প্রশ্ন উঠছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটি কি হারিয়ে যাবে?

কার্তিক পাল, মালদা: কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে তাল পাতার পাখা। আধুনিকতার ছোয়ায় গ্রামে গঞ্জে থেকেও হারিয়ে যেতে চলেছে এই কারুশিল্প। গ্রাম বাংলার একটি প্রাচীন কারুশিল্প এই তাল পাতার পাখা। বাঙালি সংস্কৃতির একটি প্রাচীন ঐতিহ্য এই পাখা। বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতিতে এ পাখার একটা বিশেষ ভূমিকা ছিল। আজ সেই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ধীরে ধীরে এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম। এক সময় নতুন জামাই, কিংবা বাড়ির অতিথির জন্য ঘরে রকমারি পাখা বানিয়ে দেওয়া হত। যেন বাইরের গরম থেকে কিছুটা প্রশান্তি লাভ করে।
কিন্তু আধুনিক সভ্যতার বিকাশ এবং বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি প্লাস্টিকের পাখার ব্যবহারের সাথে সাথে তালপাতার পাখার চাহিদা কমে গেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটি হারিয়ে যাবে?
বিলুপ্ত প্রায় এই পেশাটিকে আজও গ্রাম বাংলায় কিছু লোক ধরে রেখেছেন। কারণ এখনো গ্রামের বেশ কিছু মানুষ এই হাতপাখা ব্যবহার করেন। মালদা জেলার গাজোল থানার রানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সুদীপ বিশ্বাসের নিখুঁত হাতেই এখন তৈরি হয় বাহারী রকমের পাখা। তালপাতার পাখা বানানো এখন তার নেশা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই সময়ে সারাদিন পাখা তৈরিতে ব্যাস্ত থাকেন। ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী ও তার বৃদ্ধা মা তার এই কাজের প্রধান সহযোগী। তিনি জানান বর্তমানে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন। কিন্তু সুদীপবাবু বংশপরম্পরায় চলে আসা এই পেশাটিকে এখনো টিকিয়ে রেখেছেন।
তিনি আরো বলেন, এক একটি পাখা তৈরিতে খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ টাকা। আর বিক্রি হয় (পাইকারি) ২০ থেকে ২৫ টাকা। এই টাকায় সংসার চলে না তাই মাঝে মাঝে অন্য পেশাকেও বেছে নিতে হয়। সরকারের সাহায্য পেলে আমার এই পেশাকে আরো বড় করতে পারতাম। আমি চাই এই ঐতিহ্য টিকে থাকুক আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। ক্ষুদ্র এই কুটির শিল্প বাঁচাতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এক সময় এই পাখা ছাড়া চলা দায় হয়ে পড়ত। আমার এখানে প্রতিদিন ৩০/৪০টি পাখা তৈরি করতে পারি। বানানো এসব তাল পাতার পাখা বিভিন্ন হাটে বিক্রি করি। পাখার পাশাপাশি খাঁচা ও ডালি তৈরি করি। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাঁশ দিয়ে বানাতে পারি।
তিনি আরও বলেন, তালপাতা বাঁশের কঞ্চি সুই সুতো এর প্রধান উপকরণ। তাল গাছের কচি পাতা সংগ্রহ করে জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর সেই পাতা শুকনোর পর এই পাতাকে সাইজ করে কাটা,সরু সরু লম্বা কাঠি দিয়ে বাধা, রং করা প্রভৃতি নানান পর্বের মধ্য দিয়ে পাখা তৈরি হয়। কিন্তু এখন গ্রামাঞ্চলে তাল গাছের সংখ্যা কমে গেছে। যে কারণে পাতা সংগ্রহ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এক সময় এসব পাতা এমনিতেই সংগ্রহ করা গেলেও এখন প্রতিটি পাতা ৫ টাকা দরে গাছের মালিকের কাছ থেকে কিনে আনতে হয়। যে কারণে এখন পাখা তৈরির খরচ বেড়ে গেছে। আমরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০টি পাখা তৈরি করতে পারি।
ইলেট্রনিকের যুগে এসে তাল পাতার পাখা বিলুপ্তির দিকে গেলেও এখনো বাংলার গ্রাম-গঞ্জের মানুষের কাছে চিরচেনা এই পাখা তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। প্রযুক্তির হাত ধরে বাজারে এখন ইলেকট্রনিক পাখা, এসি, এয়ার কুলারের দাপট। যার কারণে এর ব্যবহার তুলনামূলক কম। অসম প্রতিযোগিতায় ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে ঐতিহ্য তালপাতার হাতপাখা। আধুনিকতা সাথে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠতে না পারলেও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে এই পাখা। যা বৈদ্যুতিক পাখা কিংবা এয়ারকন্ডিশনের যুগের আগেরকার অনেকের ভালোবাসার নাম।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - কৃষি ও ফুল বাগান

আপনার জন্য নির্বাচিত

মুখ্য মন্ত্রীর নির্দেশ মানছে না কেও ! মানিকচক ঘাটে লঞ্চ ডুবির দ্বায় কার? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন

আবার কলকাতায় ভয়াবহ আগুন

উত্তরবঙ্গের আরও এক তৃণমূল বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে।

জেলার মিল মালিকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা সভা।

Tokyo olympic update তীরন্দাজি তে বিদায় দীপিকা কুমারির।

Malda:সরকারি জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই দলে সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র এলাকা,ভোটের মুখে উত্তপ্ত হরিশ্চন্দ্রপুর

রাশিফল — 26 March

 ‘মোচা’কে অবহেলা করবেন না – আপনার শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান করবে

বরানগরে আবাসনের নিচে যুবকের প্লাস্টিকে মুখ ঢাকা মৃতদেহ উদ্ধার ! এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য

এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে কৃতি দুস্হ ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও রক্তদান শিবির