কংগ্রেস ও আরজেডির জোটকে অনুপ্রবেশকারীদের জোট বলে কটাক্ষ মোদীর ? কিন্তু কেন 

newsbazar24 ঃ ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচার এসে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতৃত্বাধীন জোটকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডিকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট।” একই সঙ্গে তিনি এই তিন দলের জোটকে ‘মাফিয়ার গোলাম’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। খালি এই নয় দুর্নীতি ইস্যুতেও বিরোধীদের আক্রমণ করেন মোদি।

নির্বাচনী প্রচারে সোমবার  গাড়োয়া জেলায় আসেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির এই সভায় উপচে পড়ে ভিড়। সাধারণ মানুষ ‘মোদী, মোদি’ স্লোগান দিতে শুরু করেন ।

আর সেই বৈঠক থেকেই অনুপ্রবেশ ইস্যুতে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি-র জোটের সমালোচনা করেন নরেন্দ্র মোদি। হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিন মোদি বলেন, “ঝাড়খণ্ডে তুষ্টির রাজনীতি চরমে পৌঁছেছে। জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোট বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে ব্যস্ত। ভোটব্যাঙ্কের জন্য তাদের ঝাড়খণ্ডে আশ্রয় দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে, আদিবাসী সম্প্রদায় ধীরে ধীরে এতে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা আদবাসি সম্প্রদায়ের জন্য আতঙ্কের বিষয়, এই জোট এখন অনুপ্রবেশকারীদের জোট এবং তারা মাফিয়াদের দাস।

দুর্নীতির ইস্যুতে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের আক্রমণ করে মোদী বলেন, “দুর্নীতি দেশকে ফাঁকা করে দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি দুর্নীতির সব সীমা অতিক্রম করেছে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। আর এর ফল ভোগ করতে হবে দরিদ্র, দলিত, আদিবাসীদের।” প্রধানমন্ত্রী একটি ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র বিজেপিই রাজ্যকে সমৃদ্ধ করতে পারে।

এর আগে রবিবার ঝাড়খণ্ডে একটি নির্বাচনী প্রচারে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও অনুপ্রবেশ ইস্যুতে জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি জোটকে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন, বিরোধীরা রাজনৈতিক লাভের জন্য অনুপ্রবেশকে সমর্থন করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “বিজেপি এটা চলতে দেবে না।” এবারও একই কথা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে।

প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের মোট ৮১টি আসনে দুই দফায় ভোট হবে। ১৩ নভেম্বর প্রথম রাউন্ড। এবং 20 নভেম্বর দ্বিতীয় রাউন্ড। ঝাড়খণ্ডে কে সরকার গঠন করবে তা জানতে আমাদের 23 নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, ওই দিনই ভোট গণনা হবে।