এবার বাড়ির উঠোন থেকে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গেল মানুষ খেকো চিতাবাঘ ! আতঙ্কে গোটা গ্রাম

news bazar24 : বাড়ির উঠোন, নিজের বাড়ি, যেকোনো মানুষের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা বলেই মনে করা হয় । এবং সেখান থেকে নাবালিকাকে নিয়ে গেলো মানুষ খেকো। পরে ১০ বছর বয়সী এক নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।

শনিবার সন্ধ্যায় নগরকাটার আংরাভাসার গ্রামে, একটি নাবালিকা মেয়েকে তার বাড়ির উঠোন থেকে চিতাবাঘ তুলে নিয়ে যায়। ওই নাবালিকার নাম সুশীলা গোয়ালা (১০) ওরফে লীলাবতী। ঘটনাটি ঘটেছে আংরাভাসা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খেরকাটা গ্রামে। নাবালিকা কলাবাড়ি-খেরকাটা বিএফপি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো সে । বাড়ি দক্ষিণ খেরকাটায়।

এই ঘটনায় পুরো গ্রাম শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনার খবর পেয়ে বনকর্মীরা সেখানে গেলে আশপাশের বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । বন বিভাগের গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের ADFO রাজীব দে বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনা স্থলে খাঁচা পাতা সাজানো হচ্ছে। বনকর্মীরা এলাকায় রয়েছেন। ‘

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির কাছে পুজোর অনুষ্ঠান থেকে ফিরে হাত-পা ধুয়ে ঘরে ঢুকছিলেন সুশীলা। আগে থেকেই সেখানে ঢুকে লুকিয়ে ছিলো একটি চিতাবাঘ, সে পেছন থেকে আক্রমণ করে। ঘাড় কামড়ে ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে টেনে নিয়ে যায় । ওই সময় নাবালিকার বাবা-মা বাড়িতে ছিলোনা।

স্থানীয়রা রক্তের ফোঁটা দেখতে পেয়ে সাথে সাথে বনের দিকে চলে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় সুশীলার নিথর দেহ। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গোটা গ্রামের মানুষ ।

সুশীলার বাবা রাম সুরেশ পেশায় দিনমজুর। মা পূজা গোয়ালা ,গাঠিয়া চা বাগানে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তারা বাড়ি ফিরে মেয়ের করুণ অবস্থা জানতে পারেন।