এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হাসপাতালের অধ্যক্ষই ! সমিতিতে থাকবেন নার্স, পুলিশ ও বিধায়ক

news bazar24: আরজি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, মমতা রাজ্য জুড়ে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিগুলিতে আমূল পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। এতদিন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চেয়ারম্যান কে হবেন তা ঠিক করত প্রশাসন। এছাড়া সমিতিতে আর কারা থাকবেন তাও ঠিক করে দেওয়া হত । তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকদের আন্দোলনের মধ্যে রোগী কল্যাণ সমিতিতে পরিবর্তন আসতে চলেছে ।

সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এখন থেকে হাসপাতালের অধ্যক্ষ নিজেই হবেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান।” এছাড়াও সমিতিতে একজন নার্স রাখুন। একজন পুলিশ রাখুন। স্থানীয় থানার আইসিকে বা ওসিকে রাখুন। একজন সিনিয়র ডাক্তার, একজন জুনিয়র ডাক্তার এবং একজন স্থানীয় বিধায়ককে রাখা যেতে পারে । অন্য কাউকে সমিতিতে রাখার দরকার নেই। হাসপাতালের সাথে যারা সরাসরি যুক্ত তাদের থাকতে দিন।

এদিন চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বৈঠকের বার্তাও দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা আমার সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলে বসতে পারেন। আমি কথা বলতে চাই। স্বাস্থ্য সচিবকে মমতা বলেন, “আগামী বৃহস্পতিবার বেলা একটার মধ্যে বৈঠক করব। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের সুপারকে থাকতে বলুন। জেলার যাঁরা আছেন তাঁদের বলবেন ভার্চুয়ালি থাকতে। সিনিয়র ডাক্তারদের একটা দলকেও আসতে বলে দিন। জুনিয়র ডাক্তারদেরও একটা প্রতিনিধি দলকে আসতে বলে দিন। সবাইকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দেবেন’।

আরজি করের ঘটনার পর একদিকে যেমন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তেমনি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে সংস্থার মাধ্যমে হাসপাতাল নিরাপত্তা নেবেন সেই সংস্থার মাধ্যমে নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য অন্তত সাত দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন। সেই প্রশিক্ষণের পরই তারা যেন কাজে যোগ দেন। রাজ্যের সমস্ত মেডিকেল কলেজ এবং সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে এই ব্যবস্থা করুন ।