আর জি করের ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ সিবিআইকে সুপ্রিম কোর্টের

Newsbazar24:দুই দিন শুনানি স্থগিতের পর অবশেষে আজ আর জি কর মামলার শুনানি শুরু হয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ার বেঞ্চে।
এদিন আদালতে এক আইনজীবী গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার দীর্ঘ সূত্রিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ইতিমধ্যে ৯০ দিন কেটে গিয়েছে অথচ সিবিআই তদন্ত প্রক্রিয়া কতদূর নিয়ে গেছে তা জানানো হয়নি । প্রধান বিচারপতি বিচার প্রক্রিয়ার উপর আস্থা রাখার কথা বলেন । তিনি আরো বলেন চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সুতরাং এখনই অধৈর্য হলে চলবে না।

এদিন মামলার শুনানির শুরুতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়ে দেখেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ।
এরপর প্রধান বিচারপতি সিবিআইকে এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। আগামী চার সপ্তাহ পর ফের এই সংক্রান্ত রিপোর্ট সিবিআইকে আদালতে জমা দিতে হবে। তবে এদিনও আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তদন্তে স্ট্যাটাস রিপোর্টে কি রয়েছে ষ সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।
এমনকি এদিন সুপ্রিম কোর্টও কোনও মন্তব্য করেনি। তবে এদিন আদালতে ফের একবার রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে জানান,রাজ্য চায় তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। ইতিমধ্যে চার্জ গঠন করা হয়েছে। আসল দোষী যাতে দ্রুত শাস্তি পায় সে সেজন্য তিনি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানান।
এই বিষয়ে এদিন আদালতে গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি তথ্য উঠে আসে। ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স একটি রিপোর্ট এদিন জমা দিয়েছে।। সূত্রে জানা গেছে রিপোর্টটি দেখার পর প্রধান বিচারপতি সমস্ত রাজ্যের মুখোসচিবদের তা পাঠানোর নির্দেশ দেন। আর তা খতিয়ে দেখে কিংবা কোনও পরামর্শ থাকলে তা হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তা আগামী তিন সিপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি জাতীয় টাস্ক ফোর্সের এই রিপোর্ট সমস্ত বিশ্ব বিদ্যালয়কেও পাঠানোর কথাও এদিন জানান প্রধান বিচারপতি। তবে এদিন মামলার শুনানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী এই টাস্ক ফোর্সে একজন চিকিৎসক রাখা দাবি জানিয়েছেন। রাজ্য সরকারের ঠিক করে দেওয়া এক প্রতিনিধি সেখানে রাখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। এই বিষয়ে সাজেশন লিখিত ভাবে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।