অবশেষে টেলিভিশনের পর্দায় এই প্রথমবার আসছে বিপ্লবী বাঘাযতীন, দেব কি বলছেন পড়ুন

Newsbazar24: বাংলার প্রধান বিপ্লবী সংগঠন যুগান্তর দলের মূল কান্ডারী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় অর্থাৎ বাঘাযতীনের মতো একটা সাহসী চরিত্র পর্দায় তুলে ধরেছেন নির্মাতা অরুণ রায়। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর এবার টেলিভিশনের পর্দায় আসছে সিনেমাটি। আগামী ২৩ জুন দুপুর ১টায় স্টার জলসায় ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার হচ্ছে এ সিনেমাটির।

স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ মুখার্জির জীবনের অসংখ্য অবদানের কাহিনী এবং যিনি ব্রিটিশ শাসনকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন সেই ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত এই ছবি। ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী নেতা ‘যতীন্দ্রনাথ ’ সশস্ত্র আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। খালি হাতে বাঘ মারায় তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন বাঘাযতীন হিসেবে। বিখ্যাত স্বাধীনতাসংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষেরও ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি।এই চলচ্চিত্রটিতে ৯২জন মুক্তিযোদ্ধার একটি চিত্তাকর্ষক সংকলন দেখানো হয়েছে।এই ছবির একটি বড় অংশের শ্যুটিং হয়েছে ওড়িশায়। বুড়িবালামের জঙ্গলে ছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে পড়েছিল ছবির সেট। বাঘাযতীন লুকে একের পর এক চমক দেবেন দেব।
ব্রিটিশ রাজত্বের সময় মুক্তিযোদ্ধারা প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিতেন ইংরেজ হাতে ধরা পড়া এড়াতে। স্বাধীনতা আন্দোলন চালাতে ছদ্মবেশ ধারণ করতেন তাঁরা। দেবের বিভিন্ন লুক দেখে বোঝা যাচ্ছে, আসলে ছদ্মবেশ ধরতেই পর্দায় এভাবে সেজেছেন তিনি। ছবিতে দেবের মুখে শোনা যাবে, “আমি ভারতীয়, এটাই আমার একমাত্র পরিচয়, “দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন যে বীর বিপ্লবী, সেই বাঘাযতীন হিসাবে ফিরে আমি আসবই, হয় স্বাধীন ভারতের নাগরিক হয়ে, নয়তো স্বাধীনতার স্বপ্ন হয়ে”-র মতো আকর্ষণীয় সংলাপ।
পর্দায় বাঘাযতীনের স্ত্রী ইন্দুবালার চরিত্রে দেখা যাবে নবাগতা সৃজা দত্তকে। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। বাঘাযতীনের অনুপ্রেরণা ছিলেন তাঁর দিদি। যিনি নিজেও বিপ্লবী ছিলেন। এই চরিত্রেই রয়েছেন সুদীপ্তা। এছাড়াও অন্যন্য চরিত্রে রয়েছেন টলিপাড়ার একঝাঁক শিল্পী। ছবিতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল বহু শিল্পীর। যাদের বেছে নিতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে টিমকে।
সিনেমাটি প্রসঙ্গে দেব জানান,কিংবদন্তির বায়োপিকে অভিনয় করতে গিয়ে সব সময় ভয়ে ছিলাম। তবে সেই সঙ্গে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসও ছিল।পরিচালকের প্রথম পছন্দই আমি ছিলাম। তবে কিংবদন্তির চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর বেশ সময় নিয়েছি। দিন-রাত এক করে চরিত্রের প্রস্তুতি নিয়েছি। চেহারায় পরিবর্তন আনা থেকে চলনবলনও আমূল বদলে ফেলেছিলাম। সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে দর্শকদের উদ্দেশে দেব বলেন, ‘আমার অন্য সিনেমা না দেখলেও চলবে, ‘বাঘাযতীন’ যেন কেউ মিস না করেন।’তিনি আরো জানান, বাঘাযতীন চলচ্চিত্রটি জীবনীমূলক নাটকের চেয়ে বেশি, যারা ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন তাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি এটি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
এ সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন দেব। তাই প্রযোজক দেব সিনেমাটিকে টেলিভিশনে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।