অন লাইন বা দোকান থেকে কিছু ক্রয় করে সমস্যায় পরেছেন ? আপনার পাশে আছে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর

   শঙ্কর চক্রবর্তী (news bazar24) :  মালদা জেলা ক্রেতা সুরক্ষা উপভোক্তা দপ্তরের গত পাঁচ বছরের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরে মালদা জেলার সাধারণ মানুষ ক্রয় বিক্রয় সম্পর্কিত বিবাদ অভিযোগে যথেষ্ট সন্তুষ্ট বলে দাবি করলেন মালদার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আর যার প্রশংসায় দাবিদার মালদা কার্যালয়ের প্রতিটি কর্মীর টিম-ওয়ার্ক।

বলাবাহুল্য হরিশ্চন্দ্র পুর ব্লকের বাসিন্দা ফতেমা বেগম একজন গৃহবধূ, মাস কয়েক আগে শহরের একটি অগ্রণী মোবাইল ষ্টোর থেকে নতুন মোবাইল সেট ক্রয় করেন । বাড়ী গিয়ে দেখেন চার্জার কাজ করছে না। অগত্যা পরদিন সেই দোকানে আসলেও দোকানদার ক্রেতাকে দোষারোপ করে চার্জারটি পাল্টে দিতে অস্বীকার করে, বাধ্য হয়েই ফতেমা বেগমকে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের স্মরণাপণ্ণ হতে হয়। আর কি “ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের হস্তক্ষেপে সাথে সাথেই নতুন চার্জার সহ মোবাইল সেটটি পাল্টে দিতে বাধ্য হয় শোরুম কর্তৃপক্ষ।

একই সফলতা এক কম্পিউটার ক্রেতার ক্ষেএে। শহরের কালীতলা লেনের অসিত সরকার। পেশায় সরকারি কর্মচারী। ছেলের জন্য শহরের এক দোকান থেকে ইউপিএস ক্রয় করেন। ১০ দিন যেতে ণা যেতেই ইউ-পি-এস এর ব্যাকআপ বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে দোকানদার বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে ক্রেতাকে দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকলে শেষ অবধি ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের ভূমিকায় অসিত বাবু আজ খুবই সন্তুষ্ট। তিনি ফিরে পেয়েছেন নতুন ইউপিএস। এই তো গেলো দুটো উদাহরণ। এরকম প্রচুর সফল উদাহরণের খবর জানা গেলো ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর থেকে।

মালদা জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক অপরেশ হালদার জানান, প্রতি মাসে অন্তত ১০-১২ টি করে অভিযোগ জমা পড়ছে, যার ৯০শতাংশ অভিযোগের সুরহা করে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে ।তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ক্রয় সংক্রান্ত অভিযোগ বেশি আসছে ।মালদা বার আসসিয়েসনের সদস্য রাজু ভাস্কর জানান, ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর কে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন ।যেমন ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের আছে ।এই ক্ষমতা গুলর মধ্যে বাদি-বিবাদি পক্ষকে ডাকলে আসতে বাধ্য করা । তবেই অনেক অভিযোগ আদালত পর্যন্ত না গড়িয়ে উপভোক্তা কার্যালয়েই মীমাংসা হয়ে যাবে । ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অফিসার উত্তম পাল জানান , মালদায় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে বিদ্যুত পর্ষদ , ব্যাঙ্ক, ও বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছে । এছাড়াও বিভিন্ন সার্ভিস সেন্টারের ক্ষেত্রেও অভিযোগ আসছে ।তবে সব ক্ষেত্রেই চেষ্টা করা হয় ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করে দেবার । যাই হোক মালদা জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের ভুমিকায় যে মালদার সাধারণ ক্রেতারা উপকৃত তা  বলার অবকাশ রাখে না ।