news bazar24: তিরিশ বছর আগে দেশে একটি পূজা ছিল না, এখন সে দেশে ১২টি ভিন্ন ভিন্ন পূজা! কয়েক বছর আগেও পুজোর হাওয়া মোরাদাবাদে পৌঁছায়নি, মিউনিখকে ছেড়ে দিন। পুজোর সময় ঢাক মাইক বাজানো হয়নি। তাই নির্বাসনে বসে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু বদলে যায়। আমাদের নিজস্ব পূজাও পরের উৎসবকে অবলম্বনে স্থান পায়। ধীরে ধীরে বিদেশে নতুন বাঙালি হওয়ার চেষ্টা বাড়ল। সময়ের সাথে সাথে পূজার সংগঠন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সংখ্যা বৃদ্ধি. বছরের পর বছর ধরে, বিদেশী পূজা এবং উদযাপনের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে ব্যস্ত সময়সূচী সত্ত্বেও, লন্ডন, সিডনি, মিউনিখ, স্টকহোমের মতো শহরগুলি কলকাতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। সেখানে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে।
কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। দূরের শহরে তখনও পূজা হতো। এটা যে কোন সপ্তাহান্তের দিন হতে পারে. সেদিন কেউ কেউ খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে দূরদূরান্ত থেকে ট্রেনে করে সেই পুজোয় যেতেন। সোহম কর নামে একজন আইটি কর্মচারী, টানা সাত বছর ধরে নেদারল্যান্ডসের একটি ছোট শহর পূজায় বসবাস করছেন। দশ বছর আগে দেশে ফিরেছেন। তিনি বলেন, সে সময় দেশে তেমন পুজো হতো না। পুজোর গন্ধ পেতে শহর থেকে বহুদূর যেতে হত। কিন্তু সে দেশে এখন অনেক পুজো হচ্ছে। বললেন, ‘এখন ওখানে থাকলে বাড়ির কাছেই পুজো দেখতে পেতাম। ঠিক কলকাতার মতো!” স্টকহোমের পাবলিক পুজোর আয়োজক অয়ন চক্রবর্তী এখনও সেই সময়ের গল্প বলে৷ তিনি বারো বছর ধরে সুইডেনে আছেন। এক সময় অনেক বড় শহরে তিন-চারটি পূজা অনুষ্ঠিত হতো। আয়ান বলেন, “আমি জানতাম আমেরিকায় প্রচুর পূজা হয়। এটি একটি ছোট দেশ। বাঙালির সংখ্যাও অনেক কম। স্টকহোমে পুজো হয়েছিল, সবাই সেখানে গিয়েছিল।” এরপর ধীরে ধীরে পুজোর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখন শুধু স্টকহোম এবং আশেপাশের কিছু শহরে সাত বা আটটি পূজা অনুষ্ঠিত হয়, অয়ন বলেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় তাকে পূজা করতে।
জার্মানির মিউনিখের গল্পও স্টকহোমের মতোই। শহরটা ছোট। তবে বাঙালির সংখ্যাও কম নয়। তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান চর্চাকে ঘিরে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে বহু বাঙালির বসবাস। পুজোর সময় কত মানুষ ঘরবন্দি বোধ করেন না? সেখানেও এক পুজো থেকে অন্য পুজোতে একই ভাবে বাড়তে থাকে। সেই শহরে কর্মরত কল্যাণীর ছেলে রণজয় মালাকার এখন ‘সম্প্রীতি মিউনিখ’ পুজোর অন্যতম প্রবর্তক৷ তিনি বলেন, “আমরা বহু বছর ধরে পুজো করে আসছি। এটা অনেকটা বাড়ির পুজোর মতো।