Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

Malda Kali Puja: অমাবস্যার আগের রাতে পুজিত হলেন দশভূজা কালী

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

Newsbazar24:মালদা শহরের গঙ্গাবাগে দশভূজা কালী পূজিত হলেন ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির উদ্যোগে। মালদার বিপ্লবী কমলকৃষ্ণ চৌধুরী ও তাঁর সহযোগীদের হাতেই প্রথম সূচনা হয়েছিল দশ মাথার কালীপুজোর। ১৯৩০ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির নামে শুরু হওয়া এই পুজোয় রয়েছে একাধিক বৈশিষ্ট। মা কালীর প্রতিমায় রয়েছে ১০টি মাথা ও ১০টি হাত। কালী প্রতিমায় শিবের কোনো স্থান নেই। মায়ের পায়ের তলায় থাকে অসুরদের কাটা মুন্ড।এই কালীপুজোর আরও একটি বৈশিষ্ট হল, অমাবস্যা তিথিতে এখানে পুজো হয় না। বরং তান্ত্রিক মতে মায়ের পুজো হয় কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। শনিবার ভূত চতুর্দশীর দিন নিয়ম মেনে অনুষ্ঠিত হল মহাকালির পুজো।
তার পূর্বে এদিন সকালে মহাকালির প্রতিমা নিয়ে মালদা শহর জুড়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ভিন জেলা থেকে আগত শিল্পীরা রাধা কৃষ্ণ সেজে নৃত্য প্রদর্শন করেন শোভাযাত্রায়।


এর পাশাপাশি মালদা জেলার মুখা শিল্পারা অংশ নেয় শোভাযাত্রায়। তার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার শিল্পীরা বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র সহকারে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। মহাকালী সহকারে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দেখতে মালদা শহরের রাজপথে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। সন্ধ্যায় শুরু হয় মায়ের পুজো। পুজোর শুরুতেই পাঠাবলির রক্ত মাকে উৎসর্গ করা হয়। তারপর শুরু হয় পুজো।মায়ের ভোগ হিসেবে তৈরি হয় বিশেষ শোল মাছের অম্বল।

জানা যায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শক্তি অর্জনের জন্য এই পুজো শুরু করেছিলেন অবিভক্ত মালদহের তৎকালীন কিছু যুবক। যাঁরা নিয়মিত এখানে শরীর চর্চা করতে আসতেন। তাঁদের মনে তখন দেশকে স্বাধীন করার স্বপ্ন ৷ তারাই শুরু করেন এই মহাকালী পুজা।এখন এই পূজার এখন ব্যাপ্তী অনেক দূর ছড়িয়ে গিয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এখানে পুজো দিতে আসেন।

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

সম্পর্কিত খবর