Newsbazar24:দশমীতে বিষাদ কাটাতেই কয়েকদিন পরই, সকল দুঃখ-কষ্ট মুছে দিতে আসেন দেবী লক্ষ্মী। দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই শুরু হয় লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন। দেবী লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদ, সৌভাগ্য এবং সৌন্দর্যের দেবী। তাঁর অপর নাম মহালক্ষ্মী এবং বাহন হল পেঁচা। শারদীয় দুর্গোৎসবের পর প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে এই লক্ষ্মীপূজা হয়ে থাকে। এই তিথিতে যাঁরা রাত্রি জেগে দেবীর আরাধনা করে দেবীর আগমনের অপেক্ষায় থাকেন, তাঁরা লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন।
চলতি বছর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো পড়েছে ২৮ অক্টোবর, বাংলা ৯ অগ্রহায়ন শনিবার।
ধনসম্পদ ও সৌভাগ্যের আশায় কোজাগরী পূর্ণিমায় ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজো করা হয়। আমরা সকলেই চাই যে, মা লক্ষ্মী যেন তাঁর আশীর্বাদ আমাদের ওপর বর্ষণ করেন। তবে সারা বছর মায়ের কৃপা পেতে গেলে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন এই টোটকাগুলো করতে হবে।
১)লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যাবেলায় হাতের মধ্যে একটা লবঙ্গ ও একটা এলাচ নিয়ে দেবীর সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন এবং ১০৮ বার লক্ষ্মী মন্ত্র (ওঁ মহালক্ষ্মী দেবী নমঃ) জপ করুন। জপ করা হয়ে গেলে সেই লবঙ্গ ও এলাচ এক টুকরো হলুদ কাপড়ে মুড়ে আপনার টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন। এর ফলে সংসারে শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে।
২) এই দিন গঙ্গায় স্নান করা এবং পূর্ণিমার সময় রাত জাগা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
৩) সারাবছর মায়ের কৃপা পেতে চাইলে, লক্ষ্মীর সঙ্গে নারায়ণ পুজো অবশ্যই করুন। মায়ের পুজোয় পদ্ম ও অপরাজিতা ফুল অর্পণ করুন।
৪) কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মীপুজো পুজোর সময় ধানের শীষ পুজোর জায়গায় রাখুন। এছাড়াও, এই দিন দেবী লক্ষ্মীর কাছে কড়ি রাখলে অত্যন্ত শুভ ফল পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস।
৫) লক্ষ্মীপুজোয় সাধারণত মাটি, কাঁসা কিংবা স্টিলের বাসনই ব্যবহার করুন। লোহার বাসন একদম নয়।
৬) পূর্ণিমা চলাকালীন তুলসী গাছের পুজো করতে ভুলবেন না। হিন্দুধর্মে তুলসী গাছকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়।
৭) এই দিন যেন আপনার বাড়িতে কোনওভাবে ঝগড়া-ঝামেলা না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
৮) কোজাগরী পূর্ণিমায় পায়েস রান্না করে দেবী লক্ষ্মীর সামনে ঢাকা দিয়ে রাখুন। পরের দিন সেই পায়েস পরিবারের সকলকে দিন। এতে সংসারে আয় বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থ কষ্ট ঘুচবে! আর, মা লক্ষ্মীকে ক্ষীরের মিষ্টান্ন অর্পণ করেন
৯) মা লক্ষীকে সন্তুষ্ট করতে পুজোর পর অবশ্যই ব্রত কথা বা লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ করুন৷ পাঠ করার সময় মন যেন চঞ্চল না থাকে।