Vicious Scene: এ্যাম্বুলেন্সের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না পারায় হাসপাতাল চত্বরে কাতরাচ্ছেন গর্ভবতী এক মহিলা

Newsbazar24:-অমানবিক দৃশ্য। হাসপাতাল চত্বরে গর্ভবতী মহিলা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। অথচ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে এ্যামবুলেন্স।তবে অতিরিক্ত ভাড়া না দিলে মিলবে না এই এ্যামবুলেন্সের পরিষেবা দাবি চালকদের।অতিরিক্ত ভাড়া জোগাড় করতে না পেরে হাসপাতালের বাইরে দুই ঘণ্টা ধরে পড়ে থাকলেন এক গর্ভবতী মহিলা। এমনকি এ্যামবুলেন্স চালক থেকে শুরু করে ডাক্তারবাবুদের অনুরোধ করেও মেলেনি এই পরিষেবা বলে অভিযোগ।এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।এই অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে এদিন এ্যামবুলেন্স চালক,ডাক্তার ও চেন মাস্টারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর আত্মীয়রা। ডাক্তারবাবুদের যোগসাজশে হাসপাতালে এই ধরনের দুর্নীতি চলছে বলে সরাসরি অভিযোগ তুললেন রোগীর আত্মীয়রা। জানা যায়,মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা তারিখ আনোয়ার তার দশ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী আসমিন খাতুনকে গত বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালে তিনদিন থাকার পর রোগীর বেগতিক অবস্থা দেখে ডাক্তারবাবুরা শনিবার দুপুর ৩ টা নাগাদ চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন।হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা এ্যামবুলেন্স চালক ও চেন মাস্টারকে বলতে গেলে অতিরিক্ত ভাড়া হিসেবে ৪০০ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ।এই টাকা না দিলে এ্যামবুলেন্সের চাকা ঘুরবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন চেন মাস্টার। এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। শেষ পর্যন্ত হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমল কৃষ্ণ মন্ডল এর অনুরোধে সরকারি ভাড়ায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে খবর।

হাসপাতাল সূত্র জানা যায়,বেসরকারি এ্যামবুলেন্স দূরত্ব অনুয়ায়ী সরকারি পক্ষ থেকে ভাড়া পায়।হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল থেকে চাঁচলের দুরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার।এর জন্য সরকারি ভাবে ভাড়া ৪৫০ টাকা।হয়তো এই ভাড়াতে ।তবে সরকারি নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে চাওয়া বেআইনি।

হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমল কৃষ্ণ মন্ডল জানান লিখিত অভিযোগ পেলেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।