South 24 Pargana news:দারিদ্রতার কাছে হার মানল কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় রাজ্য স্তরে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় প্রথম প্রিয়া

Newsbazar24:দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে রাজ্য স্তরে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করে ডায়মন্ডহারবার তথা দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার মুখ উজ্জ্বল করল ডায়মন্ডহারবারে দুই ছাত্রী। সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ইণ্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় রাজ্য ক্যারাটে প্রতিযোগিতায়। আর এই প্রতিযোগিতাতে বিশেষ চমক দিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার দুই ছাত্রী। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস এণ্ড স্পোর্টস আয়োজিত চারদিনের ৬৭-তম রাজ্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল আসানসোল ইণ্ডোর স্টেডিয়ামে। পশ্চিম বঙ্গ সরকারের শিক্ষা বিভাগের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। রাজ্য স্তরে প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা থেকে অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে বীথিকা পাড়ুই এবং অনূর্ধ্ব ১৯ বিভাগে প্রিয়া হালদার ১ম স্থান অর্জন করেছেন। তাদের এই সাফল্যে উভয়কে স্বর্ণ পদক ও শংসাপত্র দিয়ে সম্মান জানানো হয়।রাজ্য প্রতিযোগিতায় ১ম স্থানাধিকারী হিসাবে এই দুই প্রতিযোগী,জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্ৰহণের সুযোগ পেয়ে গেলেন। ডায়মণ্ড হারবার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন কোচ বিজয় প্রামাণিক। প্রিয়া হালদারের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের হরিণডাঙাতে। ছোট্ট এক চিলতে বাড়িতেই বাবা ও ভাইকে নিয়ে বাস করে প্রিয়া। প্রিয়া ডায়মন্ড হারবারে পারুলিয়া হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে সে। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাখি খেলাধুলাতে বিশেষ পারদর্শী প্রিয়া। প্রিয়া ছোটবেলা থেকেই একের পর এক জেলার স্তর ও মহকুমা স্তরে বিভিন্ন ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করতেসে। সম্প্রতি রাজ্য স্তরে প্রথম স্থান অধিকার করার পর এবার লক্ষ্য জাতীয় স্তরে নিজের নাম নথিভুক্ত করা। মেয়ের এই সাফল্যের খুশি, প্রিয়ার বাবা।তিনি জানিয়েছেন, “তার মা বেঁচে থাকলে মেয়েদের সাফল্যে অনেকটাই আনন্দিত হত”ছোটবেলা থেকে ক্যারাটের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। ক্যারাটে ছাড়া কিছুই জানে না। কাজের সুবাদে বিভিন্ন সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। আমার মেয়েকে দেখভাল করা থেকে শুরু করে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেয়া সবটাই ওর স্যার করেছে। আমার এই মেয়ের সাফল্যের পিছনে ওর ক্যারাটে প্রশিক্ষক বিজয় স্যারের অবদান অপরিসীম রয়েছে। আমার মেয়ের স্বপ্ন রয়েছে ক্যারাটেতে জাতীয় স্তরে ভারতের নাম উজ্জ্বল করা। সেই মতন ও প্রস্তুতি ও নিয়ে নিয়েছে। লক্ষ্য জাতীয় স্তরে গিয়ে ভারতের নাম উজ্জ্বল করবে প্রিয়া। যে, দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তারও অনেক দায়িত্ব বেড়ে গেল। দুই শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যে গর্বিত ডায়মন্ড হারবার ভারত সেবাশ্রমের ক্যারাটে প্রশিক্ষক বিজয় প্রামাণিক। তিনি জানান, রাজ্য স্তরে ডায়মন্ড হারবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে এই দুই মেয়ে। প্রিয়া আমার কাছে ছ বছরের বেশি সময় ধরে ক্যারাটে শিখছে।বীথিকা পাড়ুই প্রায় পাঁচ বছর ধরে ক্যারাটে শিখছে। এরা রাজ্যে নিজেদের জেলার পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারের নাম উজ্জ্বল করেছে। আমি চাই এরা জাতীয় স্তরে গিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করুক। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতার জন্য এরা প্রস্তুত হচ্ছে। আগামী দিনে ডায়মন্ড হারবার অগ্নিকন্যা জাতীয় স্তরে গিয়ে ডায়মন্ড হারবারের নাম উজ্জ্বল করবে। প্রিয়া ও বিধিকা ডায়মন্ড হারবারে গর্ব।