আজ, বুধবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদন নিয়ে শুনানি হতে পারে শীর্ষ আদালতে 

Newsbazar24:

শীর্ষ আদালতের রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এর প্রধান কারণ SSC থেকে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা আদালতে পেশ করা হয় নি। কিন্তু এর ফলে স্কুলগুলোতে পঠন-পাঠান ভীষণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই আদালতের ওই রায়ের সাময়িক শিথিলতা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তারা আবেদন জানিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষের শেষ পর্যন্ত কিংবা যতদিন না নতুন করে নিয়োগ হচ্ছে, ততদিন ২০১৬ সালের প্যানেলের ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের চাকরি করতে অনুমতি দিক আদালত। এসএসসি যে হাজার পাঁচেক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে, নিজের আর্জিতে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করেনি পর্ষদ। শীর্ষ আদালতে তাদের আবেদন, অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত নন, এমন প্রার্থীদের সাময়িকভাবে চাকরি করার অনুমতি দিক আদালত।

প্রশ্ন উঠেছে, আদালত কি এই আবেদনে সারা দেবে? সম্ভবত তারা আবার যোগ্য ও অযোগ্যর তালিকা চাইবে। মঙ্গলবার বিষয়টি ফের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে উত্থাপন করেছিলেন পর্ষদের আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বুধবার আবেদনের শুনানি হতে পারে। এদিন পর্ষদের আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট কী বলে, সেদিকে তাকিয়ে চাকরিহারারা। আইনজীবীদের একাংশ বলছেন, পর্ষদের এই আবেদন কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আবার পর্ষদের তরফে স্কুলগুলির বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর অনেক স্কুলই শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে। পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। সেই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে পর্ষদ। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যোগ্য ও অযোগ্যর তালিকা দেওয়ার কথা বলে আদালত সাময়িক অনুমতি দিতে পারে। কিন্তু অযোগ্যদের তালিকা একবার সামনে আনলে পশ্চিমবঙ্গে গৃহ যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে।