ঝাড়গ্রামের আমার গ্রাম কর্মসূচি তে উপস্থিত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

Newsbazar24 :

ঝাড়গ্রামের গোবিন্দপুর গ্রামে আমার গ্রাম কর্মসূচি তে উপস্থিত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের পাটাশিমুল অঞ্চলের গোবিন্দপুর গ্রামে সংকল্প সৃষ্টি শিক্ষা নিকেতনের উদ্যোগে আয়োজিত আমার গ্রাম কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। আমার গ্রাম কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে প্রকৃতি পরস্পরা সংস্কৃতি উৎসব অনুষ্ঠানের ও আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ঝাড়গ্রামে সফর ঘিরে সাজ সাজ রব ছিলো গোবিন্দপুর “শিক্ষা নিকেতনে”। অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম শহরের আদিবাসী অধ্যুষিত গোবিন্দপুর গ্রামে রয়েছে একটি বেসরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে নিখরচায় মেলে খুদে শিক্ষার্থীদের পঠনপাঠনের সুযোগ। বৃহস্পতিবার সেই শিক্ষা নিকেতনের কর্মকাণ্ড সরেজমিনে দেখার জন্যেই আসেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাই
রাজ্যপালের সফর ঘিরে প্রত্যাশা বেড়েছে গোবিন্দপুর গ্রামের আদিবাসী সম্পদের মানুষদের মধ্যে। খোদ রাজ্যপাল গোবিন্দপুর গ্রামে আসায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। তাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কাছেই, যাবতীয় অভাব অভিযোগ তুলে ধরেন এলাকার বাসিন্দারা।
সি ভি আনন্দ বোস, রাজ্যপাল পদে বসার অল্প কিছুদিন পর থেকেই, নানা ইস্যুতে চলছে নবান্ন বনাম রাজভবন সংঘাত। এমনই আবহে, জঙ্গলমহলের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম গোবিন্দপুরে বৃহস্পতিবার আসেন খোদ রাজ্যপাল। ভরা বসন্তে পলাশ ও শিমূলে রাঙা গ্রামটিও যেন সেজে গুজে রাজ্যপালের অপেক্ষায় ছিলো। তাই রাজ্যপাল গ্রামে আসার পর উৎসবে মেতে উঠেন গ্রামবাসীরা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বৃহস্পতিবার গোবিন্দপুর গ্রামে আসার পর তাকে আদিবাসী সমাজের রীতি-নীতি মেনে বরণ করে নেওয়া হয়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার পর ওই বেসরকারি বিদ্যালয়ের উদ্যোগে তৈরি নবনির্মিত একটি গোশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন জনজাতি সম্প্রদায়ের অবদান দেশকে সমৃদ্ধ করেছে,আগামী দিনেও করবে। রাজ্যপাল বলেন আমি অতিথি নই আপনাদের লোক আপনাদের সাথে কথা বলার জন্য এবং রাজভবনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে এসেছি। রাজভবনে জনজাতি বিষয়ক একটি সেল খোলা হয়েছে। সেখানে যেকোনো সমস্যার জন্য আপনারা যেতে পারেন। আপনাদের সমস্যাগুলি সমাধান্যে জন্য বিবেচনা করা হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনজাতি মানুষের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই প্রথম। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু একজন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। সেই সঙ্গে তিনি ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন,গ্রামবাসীরা তাদের অভাব অভিযোগের কথা রাজ্যপাল কে জানান। রাজ্যপাল তাদের অভাব অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।