মালদার ব্যবসায়ী যুবক খুনের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার সম্ভাবনা

Newsbazar24:

মালদার ব্যবসায়ী যুবক খুনের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।

খুন করে যারা অভ্যস্ত এমন ব্যক্তিদের নিয়োগও করা হতে পারে এমনই সন্দেহ করছেন মৃত ব্যবসায়ী যুবক সাদ্দাম নাদাবের পরিবার। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনায় যুক্ত তার কাকিমা মৌসুমী হাসানকে গ্রেফতার করেছে।

আর কেউ এই ঘটনায় জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে মালদার ইংরেজবাজার ও দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার পুলিশ।

প্রসঙ্গত গত ১৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর মালদার পুকুরিয়ার কোকলামারি নাদাব পাড়ার বাসিন্দা বিষয় শ্রমিক ঠিকাদার সাদ্দাম হোসেনের মৃতদেহ দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় কাকিমার বাবার বাড়ি থেকে। মৃতদেহ কুপিয়ে খুন করে দেওয়ালে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল।

এর আগেই পরিবারের পক্ষ থেকে , ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল যুবককে অপহরণের। অভিযোগ ছিল তার কাকু রহমান নাদাব ও কাকিমা মৌসুমী হাসানের বিরুদ্ধে। এই কাকু কাকিমার মালদা শহরের বাড়িতেই থাকতে এই যুবক। ব্যবসার পার্টনার। একদিকে টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদ অন্যদিকে দীর্ঘদিন একসাথে থাকার পরে কাকিমার সাথে অতি ঘনিষ্ঠতা।

এই ঘটনায় মৌসুমী হাসানকে গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। সে পুলিশি জেলায় শিকার করে সেই খুন করেছে এবং সেই মৃতদেহ তার বাবার বাড়ি তপনে দেওয়ালের মধ্যে গাথা রয়েছে। সাদ্দামকে তপনে ডেকে তার বাড়ির মধ্যে খুন করা হয়।

এরপরই সোমবার তপন থানা ও ইংরেজবাজার থানার পুলিশ তলাসি চালিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

এই ঘটনার পিছনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে এমনটাই দাবি মৃত যুবকের পরিবারের।

সাদ্দাম ই ছিলো পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস। এখন সংসার কিভাবে চলবে তারা বুঝতে পারছে না।

এর আগেও কাকিমার সাথে বিবাদের কথা পরিবারকে জানিয়েছিল সে। ষড়যন্ত্র আগে থেকেই করা হয়েছিল এমনই দাবি পরিবারের।