‘প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার’ ফল ভুগতে হবে বাংলাকে – মত নাগরিক মহলের

Newsbazar24 :

এখনও বাংলায় আছে বেকারি, দারিদ্র, অনাহার, অশিক্ষা, দুর্নীতি সহ হাজার সমস্যা। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদলের কাজকর্ম দেখে মনে হয়, বাংলায় চলেছে ‘রামরাজ্য’। কোনো সমস্যা নেই। তাই সময় কাটানোর জন্য চলুক মন্দির মসজিদ খেলা। ছাব্বিশের ভোটের আগে মেরেকেটে যেখানে আর বছরখানেক বাকি তার আগে সাগরদিঘির অলংকার গ্রামে তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজদি তৈরির ঘোষণার কিছু সময়ের মধ্যেই ব্লকে ব্লকে মন্দির তৈরির ঘোষণা এসেছিল গেরুয়া শিবিরের তরফেও। প্রতি বিধানসভায় রাম মন্দির তৈরির ডাক দিয়েছিলেন হিন্দু সেনার অধ্যক্ষ অম্বিকানন্দ মহারাজ। তবে তা যে শুধু কথার কথা নয়, তাও বুঝিয়ে দিলেন মাত্র মাসখানেকের ব্যবধানে।

হুমায়ুন যদিও বলছেন বেলডাঙায় ‘তাঁর’ বাবরি মসজিদের কাজ শেষ হতে হতে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় গড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু, গেরুয়া শিবির যে অত সময় নষ্ট করতে নারাজ, তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের বড় অংশের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার’ কথা। হিন্দুত্বের তাস কে কত ভাল খেলতে পারেন তাই বোঝাতে যেন মাঠে নেমে পড়েছে বাংলার ‘টপ’ দুই রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে ‘যে গোরু দুধ দেয়, তার লাথি খাওয়া যায়’ জাতীয় কথা বলে ও অনেকটা তোষণের রাজনীতি করে বাংলার সংখ্যালঘু ভোটের সিংহভাগ নিজের দিকে রাখতে সক্ষম হয়েছেন মমতা। আবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরী করে হিন্দু ভোটকেও অক্ষত রাখার চেষ্টা করছে। তাই অধিকাংশ হিন্দু ভোটকে লক্ষ্য করে দুর্বার গতিতে মন্দিরের কারবারিরা নেমে পরেছেন ময়দানে। শুরু হয়েছে ‘রামমন্দির’ বনাম ‘বাবরি মসজিদ’ খেলা। আর দরিদ্র বঙ্গবাসী পেটের দায়ে হয়ে চলেছে পরিযায়ী শ্রমিক।