Newsbazar24 :
টানা ২১ দিন চলেছে অত্যাচার। সব সময় চোখ বেঁধে চলেছে অত্যাচার। সেই সঙ্গে চলেছে অকথ্য গালিগালাজ। পাক রেঞ্জার্সের হাত থেকে মুক্তি পেয়েই বন্দিদশার নারকীয় বিবরণ দিলেন হুগলির বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। পহেলগাঁও হামলার পরদিন ভুল করে পাক ভুখণ্ডে ঢুকে পড়ে পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন হুগলির বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। তারপর ২২ দিনের রুদ্ধশ্বাস লড়াই। দুই দেশের দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে বুধবার সকালে পাক সেনার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন পূর্ণম। তারপর নিয়ম মেনে হয়েছে শারীরিক পরীক্ষা। দফায় দফায় বিএসএফ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএসএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আটক করার পর থেকেই অধিকাংশ সময়ই চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল পূর্ণমের।
শারীরিক অত্যাচার না করা হলেও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয়েছে পূর্ণমকে। টানা ২২ দিন এক করতে দেওয়া হয়নি চোখের পাতা। সেই সঙ্গে চলেছে অকথ্য গালিগালাজ। জানা গিয়েছে, বিএসএফের একাধিক গোপন তথ্য আদায়ের চেষ্টাও করেছিল পাক সেনা। সীমান্তে কীভাবে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত খবর জানার চেষ্টা চলেছে। একাধিক অফিসারদের ব্যক্তিগত তথ্য ও নম্বরও আদায়ের চেষ্টা করেছে পাক সেনা, এমনটাই খবর। তবে পূর্ণমের কাছে ফোন না থাকায় বিশেষ লাভ করতে পারেনি তাঁরা।










