Newsbazar24 :
গতকাল গেলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। সেই উপলক্ষেই আমাদের এই প্রতিবেদন। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া স্টেশন ইতিহাসের দিক থেকেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ওই স্টেশনেই অপেক্ষা করতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অনেক সময় স্টেশনের একটি ঘরে তিনি একটি চেয়ারে বসে লেখালিখিও করেছেন। এত দিন পরেও সেই স্টেশন এখনও বিশ্বকবির স্মৃতিসাক্ষ্য বহন করছে। স্টেশনের সেই ঘর, চেয়ার এখনও সংরক্ষণ করা রয়েছে। বাংলাদেশের শিলাইদহ কুঠিবাড়ি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক ভিটেবাড়ি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জীবনের অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন এই বাড়িতেই। এই বাড়ি থেকেই একাধিক উপন্যাস, কবিতা , গান রচনা করেছেন।
তখন চলছিল ব্রিটিশ রাজত্ব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা মেলে কলকাতা থেকে কুষ্টিয়ায় যেতেন পৈত্রিক ভিটেতে মাঝেমধ্যেই। তিনি যখন কলকাতা থেকে কুষ্টিয়ায় শিলাইদহ বাড়িতে যেতেন, তখন মাজদিয়া স্টেশনে বেশ কিছু সময় ট্রেনটি দাঁড়াত। মাজদিয়া স্টেশনের পরের স্টেশনটি ছিল বানপুর স্টেশন।এখন গেদে নামে যে আন্তর্জাতিক স্টেশন রয়েছে, তখন এখানে কোনও স্টেশন ছিল না। পরবর্তী স্টেশন ছিল দর্শনা, যা এখন বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে। সেই কারণে মেল ট্রেনে মাজদিয়া স্টেশনে দাঁড়াত অনেকটা সময়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাজদিয়া স্টেশনের একটি গেস্ট রুমে ইজি চেয়ারে বসতেন। তিনি যে ইজি চেয়ারটিতে বসতেন, পরবর্তীতে সেই চেয়ারটি রেল কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে কাঁচের ঘরে রেখে দেয়। আজও সেই চেয়ারটি সযত্নে রয়েছে মাজদিয়া স্টেশনে।










