Friday , 9 May 2025 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

কবিপক্ষ : ‘কুশরি’ থেকে ‘ঠাকুর’ – ইতিহাসের বিবর্তন 

প্রতিবেদক
demo desk
May 9, 2025 11:44 am

Newsbazar24 :

 

আজ, ২৫ বৈশাখ আমাদের হৃদয়ের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। সারা বিশ্বজুড়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হচ্ছে তাঁর জন্মদিন। তিনি শুধুই পদবিতে ‘ঠাকুর’ নন, বাঙালি হৃদয়ে ঠাকুর হিসাবে দেবতার আসন নিয়েছেন। সেই ‘ঠাকুর’ পরিবারের আদি পদবি কিন্তু ঠাকুর ছিল না, ছিল ‘কুশরি’। তখনো শহর কলকাতার জন্ম হয় নি। সবে জব চার্ণক তাঁর নৌকা ভিড়িয়েছিলেন কালিকট বন্দরে। সেই সময় থেকেই কুশরি ধীরে ধীরে হয়ে উঠলো ‘ঠাকুর’ – একটা সামাজিক বিবর্তনের পথ ধরে। ঠাকুুরবাড়ির আদি পদবি ছিল কুশারি। তবে তাঁরা ব্রাহ্মণ সমাজে একপ্রকার বঞ্চিত ছিলেন। কেন? কথিত আছে, এক বিশেষ ধরনের মাংসের গন্ধ শোঁকার অপরাধে তাদের ‘একঘরে’ করা হয়েছিল ব্রাহ্মণ সমাজে। কিন্তু তারা থেমে থাকে নি। মনে ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতি ক্ষোভ নিয়ে এগিয়ে চলে জীবনের পথে।

 

ইতিহাস জানাচ্ছে, সুন্দরবনে তখন থাকতেন ওই চার ভাই। রতিদেব কুশারি, কামদেব কুশারি, শুকদেব কুশারি, জয়দেব কুশারি। এঁদেরই পরবর্তী পুরুষে জন্ম হয় জগন্নাথ কুশারি। তার থেকেই ঠাকুরবাড়ির বংশধারা এসেছে। জগন্নাথের বংশধর ছিলেন রামানন্দ, তাঁর দুই ছেলে মহেশ্বর আর শুকদেব। তখন কলকাতা বলে আলাদা কোনও শহর ছিল না। ছিল তিনটি গ্রাম – ডিহি কলিকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুর। সুন্দরবন থেকে এই গোবিন্দপুরেই চলে আসেন মহেশ্বর আর শুকদেব। সেখানে থাকাকালীন গ্রামের দরিদ্র মানুষদের নিয়মিত সেবা করতেন দুই ভাই। পাশাপাশি প্রচুর দান-ধ্যান করতেন গ্রামবাসীদের। স্থানীয় মানুষদের মনে এভাবেই ধীরে ধীরে বিশেষ স্থান তৈরি হয় দুই ভাইয়ের জন্য। স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাদের শ্রদ্ধা করতেন, ভালোবাসতেন। মনে করা হয়, দুই ভাইকে গ্রামবাসীরা ঈশ্বরপ্রতিম বলে সম্বোধন করতেন প্রায়ই। তাই একটা সময় ঠাকুর বলে ডাকা হত তাদের। এই ঠাকুর ডাককেই নিজের উপাধি হিসেবে প্রথম গ্রহণ করেন শুকদেব। পরে তাঁর ভাই মহেশ্বরের পুত্র পঞ্চাননও কাকাকে অনুসরণ করে ঠাকুর উপাধি গ্রহণ করেন।

 

ইতিহাস যত এগোতে থাকে, ততই তাঁরা ধীরে ধীরে কুশরি থেকে ঠাকুর হয়ে উঠতে থাকেন। এর মাঝেই এক বংশধর নীলমণি ব্যবসায়িক সূত্রে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়লেন কলকাতার আরেক ধনী ব্যবসায়ী বৈষ্ণবচরণ শেঠের। বৈষ্ণবচরণ নীলমণিকে গঙ্গার কাছাকাছি বড়বাজার অঞ্চলে একটি জমি উপহার দেন। বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে ওই দেড় বিঘা জমিতেই তৈরি হয় আজকের জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। উনিশ শতকের গোড়া থেকেই এই বাড়ি হয়ে উঠেছিল বাংলার সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। আজও সেই বাড়ি বাঙালির কাছে তীর্থের মতোই!আর সেখানে এসে তারা কুশরি বর্জন করে সম্পূর্ণরূপে ‘ঠাকুর’ পদবি গ্রহণ করেন। প্রিন্স দ্বারকানাথের সময় থেকেই ব্রিটিশ সরকার সমস্ত সরকারি নথিতে তাঁদের পদবি ‘ঠাকুর’ হিসাবেই নথিভুক্ত করেন।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - কলকাতা

আপনার জন্য নির্বাচিত

করোনার মৃত ৬৭ জন সাংবাদিকদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্রের

Malda:আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে মক ড্রিল

দুলাল সরকারের সমর্থনে পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার চাঞ্চল্য ইংরেজ বাজারে

বোমা রয়েছে! হুমকি ইমেলে আতঙ্ক দিল্লির এই স্কুলে

বোমা রয়েছে! হুমকি ইমেলে আতঙ্ক দিল্লির এই স্কুলে

ওপার বাংলায় রাখি বন্ধন উৎসবে মহদীপুর ক্যাক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসি়েশন

প্রোগ্রেসিভ ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ারস অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে গাজলে বন মহোৎসব উদযাপন

রথবাড়ি বাজারে ছাপা মাড়ল মালদার খাদ্য সুরক্ষা ও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর! দেখুন ভিডিও

মালদহ শহরের গয়েশপুর মঙ্গল সমিতির বসন্ত উৎসব দেখুন ভিডিওতে।।

পুলিশের অমানবিক জুলুম ও পৌরসভার নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে বিক্ষোভে টোটো চাল্ক ও মালিকরা

Malda news:11 बंगाल बटालियन ने मनाया एनसीसी दिवस