Newsbazar 24:খদ্দের সেজে শিশু বিক্রি চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করল শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ।শনিবার মাটিগাড়া থানাকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে ওই চারজনকে ধরা হয়।ধৃতদের হেপাজত থেকে একটি সাতদিনের শিশুকন্যা পাওয়া গিয়েছে।পুলিশ জানায়,ধৃতরা হল বীণা দেবী,প্রতীক দেবনাথ গৌরী বাহাদুর ছেত্রী,প্রভা দেবী।এদের মধ্যে প্রতীক এবং গৌরী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।তারা দুজন শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলোনির বাসিন্দা।ধৃতদের রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করলে মহামান্য আদালত আট দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করে ।ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তভার ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্টকে দিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পায় শিশু বিক্রির চক্রান্ত চলছে।সেইমতো এসওজির একটি দল তল্লাশিতে নামে।ছক কষে পুলিশের দল গ্রাহক সেজে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।যোগাযোগ করার পর এজেন্টরা বেশ কয়েকটি শিশুর ছবি দেখায়। সেখানে ছয় মাস থেকে শুরু করে সদ্যোজাত,এক বছরেরও শিশু রয়েছে।কোনও শিশুর দাম ৬ লক্ষ টাকা,কোনও শিশুর দাম ৭ লক্ষ টাকা আবার কোনও শিশুর দাম ১০ লক্ষ টাকা।সব দেখে সাতদিনের শিশুকন্যাকে পছন্দ করে পুলিশের ওই সাজানো খদ্দের।ওই শিশুকন্যার বিনিময়ে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়।সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর শনিবার সকালে প্রতীক ও গৌরী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসতে বলেন।সেখানে পুলিশের সাজানো খদ্দেরকে ডাকা হয়।একজন মহিলা কনস্টেবলকে শিশু দেখাশোনার আয়া সাজিয়ে নিয়ে ওই বিক্রেতাদের কাছে যান পুলিশের সাজানো খদ্দের।প্রথমেই টাকা দেখতে চায় অভিযুক্তরা।সেইমতো পুলিশের পক্ষ থেকে টাকাও দেখানো হয়।এরপর ফোন করে বীণাকে শিশুটি নিয়ে আসার জন্যে বলে গৌরী।সেইমতো বাগডোগরায় নিজের বাড়ি থেকে ওই শিশুকন্যাকে এবং প্রভাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসে বীণা।এরপরেই চারজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ।পুলিশ জানতে পারে,ওই শিশুকন্যাকে বিহারের একটি আইভিএফ সেন্টার থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল।তার জন্যে বিহারের এক এজেন্টের অ্যাকাউন্টে বীণার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল।প্রভা দেবী ওই শিশুকন্যাকে শিলিগুড়িতে নিয়ে এসেছিল।