Newsbazar24:
মেছুঁয়াবাজার কাণ্ডের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গঠিত হয়েছে বিশেষ টাস্কফোর্স। শুধুমাত্র কলকাতা নয়। রাজ্যের কোনও পুরসভা বা পঞ্চায়েত এলাকায় রুফটপ রেস্তরাঁ করা যাবে না। ছাদ খোলা রাখতে হবে। খোলা রাখতে হবে সিঁড়ি। অগ্নিনির্বাপণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্স বৈঠকের প্রথম বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে এনিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের পর তা পলিসি আকারে মন্ত্রিসভায় জমা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ‘থার্ড পার্টি’ অর্থাৎ নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে সারা রাজ্যে ফায়ার অডিটের কাজও শুরু হবে। অগ্নিনির্বাপণ বিধি তৈরির জন্য মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ‘ফায়ার সেফটি অ্যান্ড রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স’ বিজ্ঞপ্তি জারি করে দু’টি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও ১৫ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন বিদ্যুৎ ও আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান-সহ এই বিভাগগুলির প্রধান সচিব, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা), পুর কমিশনার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার প্রমুখ।
এদিন দীর্ঘ বৈঠকের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, “স্টেট লেভেল কমিটির সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের মধ্যে এ নিয়ে চূড়ান্ত মিটিং করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের পর সেটা পলিসি আকারে ক্যাবিনেটে জমা দেওয়া হবে এবং জেলাভিত্তিক কমিটির রিপোর্ট মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি হবে। জমা দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই ক্যাবিনেট বৈঠকে পেশ করা হবে।” বড়বাজারের মেছুয়ায় হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যুর পরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সব বহুতল বাণিজ্যিক আবাসনের ছাদ খোলা রাখতে হবে। এদিন পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “কলকাতার মতো জেলা শহর ও পঞ্চায়েত এলাকায় দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে আধুনিক হাসপাতাল, শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ। তাই এমন নিয়ম করা হবে যা গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়।”










