মমতার বিশাল ঘোষণা – ২৩ জেলা পেতে চলেছে ২৩টি ‘শপিংমল’

Newsbazar24 :

দেশজুড়ে ক্ষুদ্র শিল্পে পশ্চিমবঙ্গ যে শীর্ষে রয়েছে তা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই মুহূর্তে দেশে ক্ষুদ্র শিল্পে পশ্চিমবঙ্গ পহেলা নম্বর । এই মুহূর্তে রাজ্যের 90 লক্ষ ইউনিটে এক কোটি চল্লিশ লক্ষ মানুষ কাজ করে । রাজ্যের 660 খানা ক্লাস্টার আগেই ছিল । এখনও অনেকেই জমি চাইছেন । বাংলায় বিনিয়োগের জন্য প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে । আমরা যতটা পারছি প্রসেস করে জমি দেখে ক্রস চেক করে সময় নিয়ে সব জায়গা থেকে ক্লিয়ারেন্স করে তারপর অনুমোদন দিচ্ছি ।” ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিপণনের জন্যও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য । রাজ্যের 23টি জেলায় 23টি শপিং মল বা বড় মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, “আমরা বলেছিলাম সেল্ফ হেল্প গ্রুপের নিজের কাজ বিক্রি করার জন্য আমরা 23টা জেলায় 23টি শপিং মল তৈরি করব । সরকার এক একর জমি দেবে বিনা পয়সায়, বেসরকারি সংস্থাগুলি বিল্ডিং তৈরি করবে । সেক্ষেত্রে সরকার জমি দিচ্ছে বলেই সেই বিল্ডিংয়ের দুটি ফ্লোর আমাদের সেল্ফ হেল্প গ্রুপকে বিনা পয়সায় দেওয়া হবে ।” এই শপিংমলগুলি স্থানীয় পণ্যের বাজারজাতকরণে সহায়ক হবে বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী । ইতিমধ্যে 11টি জেলায় এই প্রকল্পের জন্য জমির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে । এগুলি হল পুরুলিয়া, দার্জিলিং, বাঁকুড়া, কোচবিহার, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর দিনাজপুর । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এছাড়া আরও 12টি এই ধরনের শপিংমল প্রসেসে রয়েছে । সেগুলি অনুমোদন পেলে সব জেলায় এ ধরনের একটি করে প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে ।

এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর, দুর্গাপুরের মানকর, বর্ধমানের পানাগড়-সহ রাজ্যের একাধিক শিল্পাঞ্চলে (ডব্লিউবিআইডিসি নির্মিত) 10টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লট বিভিন্ন বড় সংস্থাকে বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে । এই 10টি প্লটে মোট 2515 একর জমি সংরক্ষিত হয়েছে এবং প্রায় 25 হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন । তাঁর কথায়, “প্রায় 70000-এর বেশি মানুষের ডাইরেক্ট এবং ইনডাইরেক্ট কর্মসংস্থান হবে ।” মুখ্যমন্ত্রী এও স্পষ্ট করেন, “এইগুলি বেশিরভাগই তৈরি করা হচ্ছে স্টিল ইন্ডাস্ট্রি ।” এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রেও বড় পদক্ষেপ করেছে সরকার । মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে 15টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে মোট 43টি মাইক্রো এবং স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রি তৈরির জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এগুলি সবই বিভিন্ন জেলায় হবে । এক্ষেত্রে কয়েকশো কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে এবং জেলায় জেলায় কর্মসংস্থান হবে।”