রাজনীতির ময়দানে নওশাদ সিদ্দিকীর উত্থান – একটা প্রতিবেদন

Newsbazar24:

সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভা নওশাদ সিদ্দিকী দেখা করেন। আলোচনা করেন তার এলাকার বিভিন্ন দাবি নিয়ে। অনেকেই ভাবা শুরু করেন, তাহলে কি এবার নওশাদ সিদ্দিকী তৃণমূলে যাচ্ছেন? তবে তিনি স্পষ্ট সেকথা খারিজ করে দিয়েও বলেন, তার কথা মুখ্যমন্ত্রী খুবই মন দিয়ে শুনেছেন। তার দাবি মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। রাজনীতির আঙিনায় তাঁর আগমন বেশ নাটকীয়ভাবে। ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি। পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী বাংলায় বসেই ঘোষণা করলেন নতুন এক রাজনৈতিক দলের। নাম ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ (ISF)। আব্বাস জানালেন, এবার ভোটে লড়ছেন তাঁরা। হইহই পড়ে গিয়েছিল তখন। এরপর ভোট ঘোষণা, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ। সেবার বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করে সংযুক্ত মোর্চার। একুশের ভোটে আসন সমঝোতার মধ্যে দিয়ে এই তিন দল একসঙ্গে লড়াই করেছিল। মার্চ মাসের মাঝামাঝি আইএসএফ তাদের দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের প্রার্থী হিসাবে নাম উঠে আসে আব্বাসের ভাই মহম্মদ নওশাদ সিদ্দিকীর।

রাজনীতিতে একেবারে নতুন মুখ। বয়স মাত্র ২৮ বছর। ২০১৫ সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন তিনি।
ভাঙড়ের মতো আসনে এমন একজনকে মুখ করায় বেশ চর্চাও হয়। এরপর নির্বাচন, ২০২১ সালের ২ মে ফলপ্রকাশ। সংযুক্ত মোর্চার একজন মাত্র প্রার্থীই জেতেন, নাম নওশাদ সিদ্দিকী। বিধানসভায় সেবার বাম-কংগ্রেস শূন্য। সংযুক্ত মোর্চার মুখ বাঁচিয়েছিলেন একমাত্র এই আনকোরা ছেলেটি। আর তাঁর হাত ধরেই বঙ্গ বিধানসভার অলিন্দে আইএসএফের পথ চলা শুরু। এরপর ধীরে ধীরে বাংলার রাজনীতিতে নওশাদ সিদ্দিকী অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ নাম হয়ে ওঠে। বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় পথে নামতে দেখা যায় তাঁকে।

তখন তিনি শুরু করেন পথের রাজনীতি। বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে ভাঙড় থেকে কলকাতা। ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের এক কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির অভিযোগ ওঠে। নওশাদকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই ঘটনায় ৪০ দিন জেলে ছিলেন নওশাদ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৪০ দিন পর জামিনে ছাড়া পান তিনি। এই মুহূর্তে সকলেই তাকিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের দিকে। এখনো পর্যন্ত কোনো কালিমা তাঁকে স্পর্শ করতে পারে নি।