দলের বিশ্বাসঘাতকদের প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি তৃনমূল সাংসদের

Newsbazar24 :

দলের বিশ্বাসঘাতকদের প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি তৃনমূল সাংসদের। বিশ্বাসঘাতকদের একঘরে করার নিদান, সমালোচনা বিজেপির।

ফের দলের বেইমান ও বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি প্রকাশ্যে একঘরে করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার তৃনমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী। গতকাল বিকালে বাঁকুড়ার বিকনা হাইস্কুল মাঠে মহিলা তৃনমূলের একটি সভায় হাজির হয়ে দলের কর্মীদের প্রতি সাংসদ বলেন, ” অনেক বেইমান বিশ্বাসঘাতক আছে। যারা তৃনমূলের ছাতার তলায় থেকে ভোটের আগে বিশ্বাসঘাতকতা করে। ভোটের আগে যারা জোড়াফুলের বিরুদ্ধে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করেন তাঁদের গ্রামে একঘরে করে দেবেন”। দলের একাংশের প্রতি সাংসদের এমন নিদান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।

বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করেছে শাসক তৃনমূল সহ সমস্ত রাজনৈতিক দল। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি দলের গোষ্ঠীকোন্দল যে তৃনমূলের অন্যতম মাথাব্যথার কারন হয়ে উঠছে তা আড়ালে আবডালে স্বীকার করে নিচ্ছেন তৃনমূলের অনেক নেতাই। এই পরিস্থিতিতে ভোটের অনেক আগে থেকেই জেলায় জেলায় দলের গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে উঠেপড়ে লেগেছে নেতৃত্ব। ভোটে অন্তর্ঘাত এড়াতে এখন থেকেই শুরু হয়েছে নেতা কর্মীদের মধ্যে ঝাড়াই বাছাই প্রক্রিয়া। এবার প্রকাশ্যে সেই সুরই শোনা গেল বাঁকুড়ার তৃনমূল সাংসদ তথা তৃনমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুপ চক্রবর্তীর গলায়। গতকাল বাঁকুড়ার বিকনায় মহিলা তৃনমূলের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে দলের নেতা কর্মীদের একাংশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ” অনেক বেইমান, বিশ্বাসঘাতক আছে। যারা তৃনমূলের ছাতার তলায় থেকে ভোটের সময় দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার চেষ্টা করতে পারে” । এরপরই দলের কর্মীদের প্রতি সাংসদের নিদান, ” ভোটের আগে যারা জোড়া ফুলের বিরুদ্ধে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করতে যাবে তাদের গ্রামে একঘরে করে দেবেন”। মঞ্চে নিজের এই বক্তব্যের সমর্থনে পরে অরুপ চক্রবর্তী বলেন, “দল করতে হলে একটা দলই করতে হবে। সারা বছর তৃনমূল করব আর ভোটের সময় টিকিট না পেলে অন্য দলে চলে যাবো এমন কর্মীদের আমাদের দরকার নেই। যারা এমন বেইমানি করে তাদের সতর্ক করে দেওয়া হল। তাদের চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়েছে”। এদিকে সাংসদের একঘরে করার নিদান নিয়ে তৃনমূলকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রের প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, টাকা পয়সার ভাগাভাগি নিয়ে তৃনমূলের অন্দরের কোন্দল এমন জায়গায় পৌঁচেছে যে কর্মীদের মধ্যে ন্যুনতম বিশ্বাসযোগ্যতাটুকুও নেই। একইসঙ্গে সাংসদের মুখে একঘরে করার নিদানকেও কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।