সামনে দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎ ভূত

Newsbazar24 :

ঘটনাটা চমকে যাবার মতো হলেই গ্রামের মানুষেরা কিন্তু বলছে এই ঘটনা ঘটে চলেছে। আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ ভূত বিশ্বাস না করলেও ওদের কথাকে তো সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমনই সব ভূতুড়ে কাণ্ডে গা ছমছমে আতঙ্কে ভুগছেন কালনার বৈদ্যপুর রথতলা এলাকার মানুষজন। গত মাসে পরপর চারজনের মৃত্যুর পর সন্ধ্যা নামতেই ‘ভূতের আতঙ্ক’ গ্রাস করছে সকলকে। আঁধার ঘনাতেই দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরবন্দি হয়ে পড়ছেন তারা। মাসখানেক ধরে এমনই এক ঘটনার জেরে গ্রাম থেকে ভূত তাড়াতে অনেকে আবার ওঝা আনারও দাবি তুলেছেন। যদিও এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রবিবার বিজ্ঞান মঞ্চ ও মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতার প্রচার চালানো হয়। সব কিছুর পরেও মানুষের মন থেকে আতঙ্ক দূর হচ্ছে না।

সূত্র মাধ্যমে জানা গেছে, অন্ধকার এলাকায় পুলিশি নজরদারি-সহ আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, কালনা ২ ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের বৈদ্যপুর রথতলা এলাকায় গত ডিসেম্বর মাসে বার্ধক্য, দুর্ঘটনা ও রোগে ভুগে কয়েকদিনের মধ্যে পরপর চারজনের মৃত্যু হয়। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয়দের অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়। প্রথমে বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব না পেলেও পরে মানুষের মুখে-মুখে বিভিন্ন ধরনের ভৌতিক কাণ্ডের গল্প উঠে আসতে থাকে। কেউ বলে, রাতের অন্ধকারে দরজা-জানালায় আওয়াজ হচ্ছে। কেউ বলছে, রাতের অন্ধকারে তারা ভয়ঙ্কর সব মানুষকে দেখতে পাচ্ছে, কেউ আবার বিভিন্ন ফিসফিসানি শুনতে পাচ্ছে। স্থানীয় শৌভিক ক্ষেত্রপালের বক্তব্য, “অধিকাংশ মানুষের মনেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই জানাচ্ছেন, গভীর রাতে কাউকে না কাউকে দেখা যাচ্ছে। কারও বাড়ির দরজা-জানালায় নাকি ধাক্কা দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। সন্ধ্যা নামলেই সকলে বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে। তবে ভূত না মানুষে ভয় দেখাচ্ছে বুঝতে পারা যাচ্ছে না। আমরাও বের হচ্ছি না।”