North 24 pargana news:ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অফিস অভিযানে বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ব্যারাকপুরে তীব্র উত্তেজনা

News bazar 24:নিজস্ব প্রতিনিধি, :- ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে ও ব্যারাকপুরে সোনার দোকানের মালিকের ছেলেকে খুনের প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে ব্যারাকপুর আনন্দপুরী স্টেট ব্যাঙ্ক মোড় থেকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির ব্যারাকপুর জেলা। এদিন প্রতিবাদী মিছিল চিড়িয়া মোড় পৌঁছতেই পুলিশ ব্যারিকেড করে সেই মিছিল আটকে দেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভ কারীদের ধস্তাধস্তি হয়। এলাকা রনক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বিক্ষোভ কারীরা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশ কমিশনারেটের অফিস পর্যন্ত পৌঁছয়। মিছিল শেষে তারা সেখানে কিছুক্ষন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারপর পাঁচজনের প্রতিনিধি দল কমিশনার অফিসে স্মারকলিপি জমা দেন। উক্ত মিছিলে সামিল হয়ে ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি সন্দীপ ব্যানার্জি দাবি /, পুলিশ কমিশনারেট সাধারণ মানুষের বদলে শাসকদলের নেতাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত। পুলিশ এখন তৃণমূলের শাখা সংগঠন হয়ে কাজ করছে। অপরদিকে রাজ্যের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন,রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তার জলন্ত উদাহরন সোনার দোকানে লুটপাট এবং একটি তরতাজা যুবকের হত্যা। সিসি টিভি ক্যামেতে দুষ্কৃতীদের দেখা যাচ্ছে। অথচ মুল দুষ্কৃতীদে পুলিশ এখনও খুঁজে পাচ্ছে না। আদৌও প্রকৃত দোষীরা ধারা পড়বে কিনা সে বিষয়ে আমরা সন্দিহান। এব্যাপারে পথে নেমে আমরা লড়াই-আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমারা গনতন্ত্রে বিশ্বাসী। গনতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্যে দিয়েই যতক্ষন না প্রকৃত দোষীরা ধরা পড়ছে, ততক্ষন আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।
এদিনের ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বিভাগীয় কনভেনর কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি, এসসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি সুদীপ দাস, ব্যারাকপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আবিষ্কার ভট্টাচার্য ও ময়ূরী চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদক পল্লব কান্তি দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্ত্রন্দ।
ওবিসি মোর্চার সভাপতি সুদীপ দাস, আবিষ্কার ভট্টাচার্য সহ জেলা ও রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মিছিলটি আনন্দপুরী স্টেট ব্যাঙ্কের সামানে থেকে শুরু হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে চিড়িয়ামোরের কাছে আসতেই বিটি রোডের ওপর বিশাল পুলিশ বাহিনী ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। এরপরই বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা রাস্তার ওপর স্লোগান দিতে দিতে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তীব্র ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে চলে ধস্তাধস্তি। অবশেষে পুলিশের সঙ্গে উচ্চ নেতৃত্বের উতপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর বিজেপির সাত জনের প্রতিনিধি দল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অফিসে গিয়ে একটি ডেপুটেশন জমা দেন।