Malda:বন্যা ত্রাণ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভা নেত্রীকে কটাক্ষ হরিশ্চন্দ্রপুরে সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষের

Newsbazar 24: পথ সভাতে যোগ দিতে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন সিপিআইএমের মুখপাত্র শতরূপ ঘোষ।ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। সাথে দিলেন হুশিয়ারি। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে সরগরম এলাকার রাজনীতি। চোরেরা আছে বলেই মমতা ব্যানার্জি আছে। ঠিক এই ভাষাতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন শতরূপ ঘোষ। হরিশ্চন্দ্রপুরে সিপিআইএমের একটি পথসভাতে এসেছিলেন শতরূপ ঘোষ। সেখান থেকেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দুর্নীতি ইসুতে কার্যত এক হাত নেন রাজ্যের শাসকদলকে। তিনি বলেন রাজ্য-জুড়ে দুর্নীতি চলছে। পঞ্চায়েত ভোট কখন করাবে বলা যাচ্ছে না। মমতা ব্যানার্জির প্রয়োজনে করোনা আবহতেও উপনির্বাচন হয়। এদিকে মানিকতলায় সাধন পাণ্ডে মারা যাওয়া দেড় বছর হয়ে গেল উপনির্বাচন হয় নি। এই তো চলছে রাজ্যে। সাথে ফের তিনি বন্যা ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। ২০১৭ সালে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় ত্রাণ নিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে সেই দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্যা তথা মহিলা তৃণমূলের ব্লক সভা নেত্রী জয়শ্রী কর্মকার এবং তার স্বামী তৃণমূল নেতা বাপি পাল। শতরূপ ঘোষ বলেন আদালত এদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। পুলিশ বলছে এরা পলাতক। কিন্তু দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে কর্মসূচি করছে। বাপি পাল রেশন ডিলারশিপের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন পেয়ে যাচ্ছে। আসলে এই ধরনের চোররা আছে বলেই মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আছে। পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনো রকম ঝামেলা নেই। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিজেপি এবং তৃণমূলের সঙ্গে। কিন্তু পুলিশ তৃণমূলের দালালি না ছাড়লে বড় বড় মন্ত্রীদের মতো পুলিশ অফিসারদেরকেও জেল খাটতে হবে।

সিপিআইএম মুখপাত্র শতরূপ ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে জানি না কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট কে সামনে রেখে আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে। রাজ্য-জুড়ে ব্যাপকক দুর্নীতি হচ্ছে। উন্নয়ন হচ্ছে শুধু মমতা ব্যানার্জির ভাই ভাইপোদের। এদের কাছে পঞ্চায়েত দখল করা মানে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধি করা।

প্রসঙ্গত এক সময় হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা বামেদের গড় ছিল। বাম আমলে এই এলাকা থেকে মন্ত্রীও ছিল। কিন্তু বর্তমানে সারা রাজ্যের মতো হরিশ্চন্দ্রপুরেও সিপিআইএম তথা বামেরা নিজেদের জমি হারিয়েছে। এক সময় হরিশ্চন্দ্রপুরে বা বামেদের বিধায়ক বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে নিজেদের জমি ফিরে পেতে চাইছে বামেরা।