Tuesday , 7 February 2023 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

Malda:প্রখর ইচ্ছে শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম হার মানলো দারিদ্রতার কাছে,পরিযায়ী শ্রমিকের পুত্র বিডিও হতে চলেছেন

প্রতিবেদক
kartik pal
February 7, 2023 5:41 pm

Newsbazar24: প্রখর ইচ্ছে শক্তি ও কঠোর পরিশ্রম হার মানলো দারিদ্রতার কাছে। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে কেশব দাস ডবলু বি সি এস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিডিও হতে চলেছেন। জানা গেছে তার বাড়ি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরদমনগর গ্রামে। স্বাভাবিকভাবেই দরিদ্র কেশবের এই সাফল্যে গোটা গ্রামে খুশির হাওয়া। গ্রামের লোকজন থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা ফুলের তোড়া ও মিষ্টি নিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন কেশবকে। তার এই সাফল্যে বাবা মা ও আত্মীয়স্বজনদের বুক গর্বে ভরে উঠেছে।
কেশব দাস জানান,২০২০ সালে দ্বিতীয়বার ডবলু বি সি এস পরিক্ষায় বসেন।চলতি মাসের ২ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।সে ডবলু বি সি এস এক্সিকিউটিভ ‘A’ বিভাগে পশ্চিমবঙ্গে ২৭ তম স্থান দখল করেছেন।তিনি আরো জানান,২০১১ সালে হরদমনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৭ শতাংশ নাম্বার পেয়ে মাধ্যমিক,২০১৩ সালে দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৬ শতাংশ নাম্বার পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।এরপর মালদা কলেজে সংস্কৃত অনার্স নিয়ে ভর্তি হন।২০১৬ সালে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে স্নাতক পাশ করেন।২০১৮ সালে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭৭ শতাংশ নাম্বার পেয়ে এম এ পাশ করেন। মালদা হোস্টেলে থেকে পরিক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতেন।আর্থিক অভাবের কারণে সেই রকম কোচিং নিতে পারেননি।তবে নিজে টিউশন পড়িয়ে পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতেন।তার ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল শিক্ষক হওয়ার।কঠোর পরিশ্রমের ফলে ডবলু বি সি এসে সাফল্য এসেছে।
কেশব দাসের বাবা জ্ঞানবান দাস জানান,তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে।কেশব ছোট ছেলে।সে ছোট থেকেই ছিল কঠোর পরিশ্রম ও মেধা।তাকে পড়াশোনার জন্য কখনো বকাঝকা করতে হয়নি।
তার সাফল্যে গর্বিত আজ সম্পূর্ণ হরিশ্চন্দ্রপুরবাসি।তিনি আরো জানান,সে একজন পরিযায়ী শ্রমিক।লকডাউনের পর থেকে বাড়িতে বসে রয়েছেন।দিনমজুর ও জমিতে কাজ করে কোনোরকমে সাংসারিক খরচের পাশাপাশি ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতেন।এই সামান্য আয়ে হিমসিম খেতে হয় তাকে।ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতে গিয়ে ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিতে হয়েছে তাকে এমনকি তার স্ত্রীর কানের সোনার দুল পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয়েছে। যা এখনো পর্যন্ত ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি সে। মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর ছেলের আবদার ছিল একটি নতুন সাইকেলের তাও তিনি কিনে দিতে পারেননি।প্রতিদিন প্রায় ছয় কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ছেলে দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যেত। মালদা হোস্টেলে থাকাকালীন ছেলে একটি ল্যাপটপের আবদার করলেও সেটাও দিতে পারেননি।সবার ঘরেই এরকমের সন্তান জন্ম হোক বলে তিনি আশীর্বাদ করেন।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - মালদা

আপনার জন্য নির্বাচিত

মোবাইল ও টাকা চুরি করে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পরল এক নাবালক।

ওড়িশার লিঙ্গরাজ মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক অদ্ভুত ইতিহাস

Malda News:নদী তীরবর্তী সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে বালি ও মাটি পাচার রুখতে ওসির নেতৃত্বে বিশেষ নজরদারি

রাজ্য কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলা উঠছে আগামী ২২ এপ্রিল, স্থায়ী সমাধান হবে কি?

মালদহে পাঁচ শতাধিক তৃণমূল সংখ্যাঁলঘু কর্মী দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিলেন

ইংলিশ বাজার ব্লক এর মহদীপুর বাউল কমিটির বাউল মেলায়সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

World news:আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ হাজার নার্স ধর্মঘটে

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক ব্যক্তির হাতে ট্রাই সাইকেল তুলে দিল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ

খু‌শি বেলডাঙা ইসরোর বিজ্ঞানীর বাড়িতে

मरणोपरांत अमर शहीद रायपदा दास को सेना पदक से सम्मानित