Malda:চোরের মায়ের বড় গলা, মালদহে রহিম বক্সিকে পাল্টা আক্রমণ বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রার

Newsbazar24: জনতা যুব মোর্চার বৃক্ষ ও প্রতিবাদ সভায় এসে মালদায় জেলা তৃণমূল সভাপতিকে আক্রমণ করলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন চোরের মায়ের বড় গলা পাশাপাশি তৃণমূলের দুর্নীতির ফর্দ তুলে ধরেন
বুধবার ভারতীয় জনতার যুব মোর্চার মালদা শাখার পক্ষ থেকে তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীদের দ্বারা সংগঠিত দুর্নীতি ও বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মিছিল ও পথসভার আয়োজন করা হয়। বিজেপি জেলা কার্যালয় শ্যামাপ্রসাদ ভবন থেকে এই মিছিল সারা শহর পরিক্রমা করে রথবাড়ি এলাকায় শেষ হয়। সেখানেই এক পথসভার আয়োজন করা হয়। এদিনের এই মিছিলে ছিলেন বিজেপি নেত্রী ও বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল, ভরতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, উত্তর ও দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত, পার্থসারথী ঘোষ সহ অন্যান্যরা।

সেই প্রতিবাদ সভায় অগ্নিমিত্রা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বকশির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন, রহিম দা আপনি কোথায়? আপনি বলেছিলেন বিজেপিকে সভা, মিছিল করতে দেবেন না। আজকে বিজেপি সভা, মিছিল করেছে। আমাদের ভয় দেখাবেন না। ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে।’তিনি বলেন, ‘রহিম দাদা আমাদের উত্তরবঙ্গের মন্ত্রীর জামাকাপড় খুলে নেবেন বলেছেন, আবার আমাদের সাংসদ খগেনদাকে জলে চোবানোর হুঁশিয়ারি দেন।কখনও জিহ্বা ছিঁড়ে নেওয়া কথা বলেছেন। তিনি রহিম বাবুকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন আমাদেরকে ভয় দেখাবেন না, আপনাদের এখন ভয় পাওয়ার সময়। চোরের মায়ের বড় গলা। চুরি করেছেন বাংলার মানুষকে প্রতারিত করেছেন। আর এখন আমাদের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলছেন? তিনি আরো বলেন দিদিমনির পুলিশ, এখন পুলিশের কাজ করতে ভুলে গেছ। দিদিমনির জন্য কালেকশন তুলছে।
এ ছাড়া, আইন শৃঙ্খলা, মেডিক্যালে চিকিত্‍সকদের উপস্থিতি নিয়েও সভায় প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, মালদহ মেডিক্যালে চিকিত্‍সক থাকেন না। চিকিত্‍সক পড়ুয়ারা হাসপাতাল সামলাচ্ছেন। আর চিকিত্‍সকেরা কোটি কোটি টাকা দিয়ে নার্সিংহোম খুলে বসছেন।’ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভার ‘দুর্নীতি’প্রসঙ্গে তিনি বলেন দুই পুরসভার দুর্নীতি লাল ও নীল ডায়েরিতে লিখে রাখা হচ্ছে। কেউ ছাড় পাবেন না। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক কে কটাক্ষ করে বলেন তারা বলেছিলেন আমরা কেন্দ্রের পয়সা চাইনা ১০০ দিনের টাকা চাই না। অভিষেক বাবু বলেছিলেন আমরা কেন্দ্রের সাহায্য চাই না। অথচ এদিন সকাল সকাল চলে গেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে টাকা চাইতে। আপনার নেতা মন্ত্রীরা ১০০ দিনের টাকা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা চুরি করবে, আর আপনি টাকা চাইতে যাবেন। তিনি আরো বলেন আর তিন মাস পরে লোকসভা নির্বাচন।আমরা প্রধানমন্ত্রীও গৃহমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি বাংলা থেকে ৩৫টি আসন তাদের হাতে তুলে দেব। তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হন আর তিন মাস বাকি। চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।