Malda:কাটমানির টাকা না দেওয়ায়, কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফরম বাতিলের অভিযোগ সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে

Newsbazar24:কাঠ মানি না দেওয়ায় ‘কন্যাশ্রী’ ফর্ম বাতিল নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোমপাল গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের মেয়ের ক্ষেত্রে। শুধু তাই নয় কাঠ মানি টাকা দিতে না-পারায় ছাত্রীকে সরকারি খাতায় বিবাহিতা বলে উল্লেখ করেছেন ঐ সরকারী কর্মী। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও, রতুয়া থানা ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস বিডিওর।
রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোমপাল গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের মেয়ে সুলতানা পরভিন
স্থানীয় বাটনা জেএমও সিনিয়র মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার বয়স ১৮ বছর হয়ে যাওয়ায় নিয়মমতো মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করে ফর্ম পূরণ করেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সেই ফর্ম ভেরিফিকেশন করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতরে। পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে সেই ফরম যাবে ব্লক দপ্তরে তারপর সেখান থেকে জেলা দপ্তরের চূড়ান্ত অনুমোদিত হবে।অভিযোগ, সুলতানার আবেদনপত্র অনুমোদন করে ব্লক স্তরে পাঠাতে টাকা দাবি করেন পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্মী। আর সেই টাকা না দেওয়ায় সুলতানাকে সে বিবাহিত বলে উল্লেখ করেন ‘কন্যাশ্রী’র ফর্মে। যাতে সে সরকারি প্রকল্পের টাকা না পায়।
এই নিয়ে দেড় বছর ধরে পঞ্চায়েত এবং ব্লক দফতরে গিয়েও কোন সমাধান হয়নি সুলতানার। তার অভিযোগ বিবাহিত বলে উল্লেখ করায় আমার ফর্ম বাতিল হয়ে যায়। সেই জন্য বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।
সুলতানার সঙ্গে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আনওয়ারুল হক জানিয়েছেন,’আমি মেয়েটির কাছ থেকে জানতে পেরে পঞ্চায়েত অফিসে ফোন করি। কিন্তু সেখানে সুরাহা না পাওয়ায় পুরো ঘটনাটি বিডিও কাছে জানাই। দেড় বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরেও তার নাম কেন কন্যাশ্রী প্রকল্পে উঠল না, আমি জানিনা। এছাড়াও সুলতানার বাবা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এই ঘটনার তাঁরা পূর্ন তদন্ত চান।
এনিয়ে বিডিও রাকেশ টোপ্পো জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত শুরু হয়েছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।