Malda TMC Clash:আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল , অঞ্চল সভাপতি কে খুনের চেষ্টার অভিযোগ পরিবারের

Newsbazar 24: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। সভায় ডেকে নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কে খুনের চেষ্টারও অভিযোগ উঠলো।বর্তমানে ওই তৃণমূল নেতা মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আশঙ্কা জনক অবস্থায় চিকিত্‍সাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুর থানা এলাকার। আহত তৃণমূল নেতার নাম শিবানন্দ শর্মা(৪৮) । তিনি হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। তাঁর পরিবারের অভিযোগ দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। পরিবারের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে হবিবপুর থানার পুলিশ।
পরিবার ও পুলিশ জানা গিয়েছে, গতকাল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য একটি মিটিং ডাকে। সেখানে ছিলেন অঞ্চল সভাপতিও। সেখানে পৌঁছাতে রাত হয়ে যায় শিবানন্দের। রাতে তাঁর বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। এরপর তার পরিবার জানতে পারে মিটিং থেকে ফেরার সময় তিনি বাইকে দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। এই ঘটনার পরেই ছুটে যান তাঁর ভাই, পরিবারের লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিত্‍সাধীন রয়েছেন শিবানন্দ।
সোমবার রাতেই এই ঘটনায় ঋষিপুর অঞ্চলের সম্পাদক, সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য-সহ চার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছে শিবানন্দর পরিবার। হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
। গোটা ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরেই চেয়ারম্যান ও অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে দলীয় বিবাদ চলছিল। কানতুর্কার মিটিংয়েও একাধিক বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। তারপরই তৃণমূল নেতার আহত হওয়ার খবর মেলে। দুটি ঘটনার মধ্যে মিল রয়েছে বলেই অভিযোগ পরিবারের।
আক্রান্তের ভাই বলেন, “আমার দাদা মিটিংয়ে গিয়েছিলেন। প্রদীপ বাস্কের বাড়িতে তৃণমূলের একটা মিটিং ছিল। আসার পথে দাদার সঙ্গে বেশ কয়েকজন ছিলেন। ওঁরা দাবি করছেন, বাইকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু দুর্ঘটনা কীভাবে হল? আমি চাই এর সঠিক তদন্ত হোক।” জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “এর সঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে অভিযোগ হয়েছে। গোটা বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।