Malda news:হবিবপুরের হালুয়া আদিবাসী গ্রামে ইদারা ও পুকুরের জল পান করতে হচ্ছে চরম সমস্যায় গ্রামবাসীরা

Newsbazar 24: গ্রামে নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। একমাত্র ভরসা গ্রামের ইঁদারা। সেখানেও জল মাঝেমধ্যে দূষিত হয়ে পড়ে। মাঝেমধ্যেই ইঁদারার জলস্তর নেমে যায়। গ্রামের যে পুকুরে গোরু-বাছু-মানুষ স্নান করে, সেখানকার জলই পান করে তৃষ্ণা নিবারণ করতে হয় গ্রামবাসীদের। স্বাধীনতার পর পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ এতগুলো বছর৷ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও গ্রামের মানুষকে আজও ইদারার জল পান করতে হয়। এ যেন কল্পনার অতীত অভিযোগ এলাকাবাসীর। ভয়ংকর পরিস্থিতি মালদহের হবিবপুর ব্লকের অন্তর্গত শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত হালুয়া পাড়া গ্রামে । সামান্য পানীয়ের জন্য পরিশ্রুত জলটাও নেই সেখানে৷ বারবার বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। তাঁদের দাবি, দিনের পর দিন ধরে দূষিত পানীয় জল পান করতে হচ্ছে আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার গ্রামবাসীদের।গরু মহিষের সাথে পুকুরের জল খেতে হচ্ছে মানুষকেও ।আর যার ফলে বিভিন্ন জলবাহীত অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
হালুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্তী মার্ডি বলেন, সারা বছর ধরে কি দ্বারা জল পান করতে হয়। তার উপর চৈত্র-বৈশাখ মাসে ইদারার জল নীচে চলে যায়৷ আবার অনেক সময় কোনও পশু-পাখি পড়ে জল পচে যায়৷ তখন বাধ্য হয়ে পুকুরের জল পান করতে হয়৷ সেই পুকুরেই গোরু-বাছুর স্নানও করে৷ চাষের জন্য জলে কীটনাশকও প্রয়োগ করা হয়৷ সেই জল পান করে আমাদের পেটে, চামড়ায় রোগও দেখা দিয়েছে৷ অনেকবার জানিয়েছি৷ কতগুলো পঞ্চায়েত নির্বাচন
চলে গিয়েছে৷ কোনও সুরাহা হয়নি৷ শুধুই প্রতিশ্রুতি মেলে৷ কিন্তু এখনও কোনও কাজ হয় না৷’ এই গ্রামেরই এক ছাত্রী সোনালী সরেন বলেন,পুকুরের জলই খাচ্ছি আবার সেখানে স্নানও করছি৷ এভাবে কষ্ট করেই আমরা জল পান করছি৷ প্রতিনিয়ত পেটের সমস্যা হচ্ছে৷ কী করব? পঞ্চায়েতে জানিয়েও লাভ হয়নি৷ এভাবেই আমাদের দিন কাটছে।
সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে ঘটনাটি জানার পরই মালদা জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ স্বপন মিশ্র বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা আজকের দিনেও মানুষ এভাবে জল পান করছে। তিনি আরো বলেন আমরা আপনাদের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের অনুরোধ জানাচ্ছি তারা আমাদের যেন এই ব্যাপারে লিখিত জানান। আমরা শীঘ্রই ব্যবস্থা নেব। ২০২৪ সাল কে সামনে রেখে সারা রাজ্য জুড়ে যাতে প্রতিটি মানুষের বাড়িতে জল যায় তার জন্য আমাদের সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগেও আমরা আপনাদের কাছ থেকে জানতে পেরে বেশ কিছু আদিবাসী গ্রামে জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।এই গ্রামেও আমরা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা শীঘ্রই করে দেব।
মালদহ থেকে কার্তিক পালের প্রতিবেদন