Malda news:স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে অস্বীকার,উল্টে রোগীর পরিবারকে মারধরের অভিযোগ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে

News bazar24:স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা ঠিক মতো মিলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য এবং জেলা স্তরে নজরদারি দল তৈরি করেছে রাজ্য সরকার৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে রয়েছে আলাদা পর্যবেক্ষক দল।
এরপরেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করছে বহু বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম। তবে শুধু কার্ড নিতে অস্বীকার নয়, তার প্রতিবাদ করায় রোগী পরিবারকে মারধর করার অভিযোগ উঠল একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ মালদহের ইংরেজ বাজার থানার একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার। তবে রোগী পরিবারকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ই ডিসেম্বর মালদহে মানিকচক থানার নাজিরপুরের বাসিন্দা আজাদ মোমিন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি তাঁকে ইংলিশ বাজারের যদুপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন ইডেন নার্সিংহোমে ভর্তি করেন।
রোগী পরিবারের অভিযোগ, ভর্তি হওয়ার সময় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়ার কথা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু, রোগী ছেড়ে দেওয়ার সময় তারা স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা দিতে অস্বীকার করে। এই নিয়ে রোগী পরিবারের সঙ্গে বচসা বাঁধে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। ঘটনায় রোগী পরিবার প্রতিবাদ জানালে নার্সিংহোমের লোকজন তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন এমনকী নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে আজাদের এক পুত্র জানান, বাবার তার বাবার হঠাৎ শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ার দরুন তারা তড়িঘড়ি মালদহের ইংলিশ বাজারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। ভর্তি করার সময় তাদেরকে জানানো হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কথা। কিন্তু রোগী সুস্থ হবার পর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। আমার দাদা তাদেরকে বোঝাতে গেলে তারা উল্টে দাদার উপর ছড়াও হয়। এবং দাদাকে মারধরও করে। এ ব্যাপারে আমরা লিখিতভাবে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে নার্সিংহোমের ম্যানেজার গোপাল নন্দী জানান, সাধারণ চিকিত্‍সার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়া হয় না ওই নার্সিংহোমে। কিন্তু কোনও মারধর করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ।