Malda News:শীত গ্রীষ্ম বর্ষা বাঁশের সাঁকোই কাটিকান্দর গ্রামের বাসিন্দাদের ভরসা

Newsbazar24:নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে টাঙ্গন নদী ৷ সেই নদী পারাপার করতে গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো ৷ এখন গ্রীষ্মকাল তাই জল সেরকম নেই ৷ কিন্তু বর্ষা এলেই বাড়বে নদীর জল ৷ তখন ছয়মাস বাঁশের সাঁকোও আর কাজে আসবে না ৷ পারাপার করতে হবে নৌকো করে ৷ পাকা সেতুর দাবি সেখানকার মানুষজনের বহুদিনের ৷ দীর্ঘ প্রায় অর্ধশতক পেরিয়ে গেলেও ঘুম ভাঙেনি শাসকের । একের পর এক সরকার বদল হলেও পরিস্থিতির বদল হয়নি ৷ ফলে স্কুল পড়ুয়া থেকে বয়স্ক,কাটিকান্দর গ্রামের সকলকেই নদীর এপার থেকে ওপার যেতে হচ্ছে এই ভাবেই ৷পাকা সেতুর আবেদন নিয়ে প্রশাসনের দুয়ারে আজ ও ঘুরতে হচ্ছে এলাকার মানুষদের । নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কাজ করেনি। বহু প্রতিশ্রুতি মিললেও তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে ক্ষোভ গ্রামবাসীদের ৷
পাকা সেতু না হওয়ায় আজও বহু কষ্টে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইক সমেতও পারাপার হচ্ছে লোকজন ।
মালদার গাজোল ব্লকের চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটিকান্দর শ্মশান ঘাট নদীর উপরে বাঁশের সাঁকো এলাকায় প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।

এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে, বিধায়ক সংসদ, বিজেপির। গ্রামের মানুষের অভিযোগ ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা এই ব্রিজের কথা বলে ভোট নেয়। তবে ভোট হয়ে গেলে বিধায়ক, সাংসদকে দেখা যায় না এলাকায়। বন্যার সময় অনেক সময় সাঁতার দিয়ে পার হতে হয় এলাকার মানুষদের।মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।
আর এই বাঁশের সাঁকো নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় দেব বর্মন জানান চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে এলাকার মানুষ বিজেপির কে সমর্থন করে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে পাকা সেতু নেই এটা ঠিক। তবে ব্রিজের সমস্যা নিয়ে আমি বিধায়ক হিসেবে এই ব্রিজের করার বিষয় নিয়ে বহুবার রাজ্য সরকারকে লিখিত মৌখিকভাবে এমনকি বিধানসভায়ও বলেছি, প্রস্তাব উঠিয়েছি। কিন্তু তারা উদাসীন তারা কাজ করেনি।
অন্যদিকে মালদা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন জানান চাকনগর এলাকায় সাঁকো ব্রিজের একটা সমস্যা রয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের সরকার বিষয়টি ভাববে ।পাশাপাশি আমরা বলব চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে এলাকার বিধায়ক থেকে সংসদ বিজেপির। তাহলে সাংসদ এম এল এরা তারা কাজ কেন করছে না। এলাকার মানুষ আজকে বুঝতে পারছে তাদের সিদ্ধান্ত ভুল নিয়েছে। রাজ্যে যা উন্নয়ন হয়েছে তা আমাদেরই সরকার করছে। আজকে বিজেপির বিধায়ক সাংসদরা কাজ না করে শুধু অভিযোগ করছেন। আমরা বলছি অভিযোগ না করে নিজের অর্থ তহবিল থেকে মানুষের কাজ করুন।